নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সকালে হঠাৎ মোড় নেয় নারদ কান্ড। গ্রেফতার হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর শোভনের গ্রেপ্তারের খবর শুনেই হন্তদন্ত হয়ে নিজাম প্যালেসে ছুটে যেতে দেখা গেল স্ত্রী রত্নাকে। দিনভর খোঁজ নেন শোভন বাবুর ছেলে। কিন্তু প্রশ্ন হল বেশ কয়েক বছর ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী বৈশাখী কোথায়? বিপদের দিনে পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল সেই স্ত্রীকেই।
দিনভর বান্ধবী বৈশাখীকে দেখা না গেলেও তিনি আবার রাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। শোভন চ্যাটার্জিকে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে জেলের গেটের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বান্ধবী বৈশাখীকে। একবার দেখা করতে দেওয়ার আবেদন জানাতে থাকেন তিনি। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি সিবিআই। তাকে জেলের গেটের বাইরে আটকে দেওয়া হয়। দেখা করতে না পেয়ে অনেকক্ষণ ধরে জেলের গেটে ধাক্কা দিতে থাকেন তিনি। তারপর সেখানে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে।
আর সেখানেই বৈশাখীকে বলতে শোনা যায়, “একবার দেখতে দিন। ওষুধটুকু খেতে দিন। ওর হাই সুগার। তবুও কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। অমানুষিক ব্যবহার করা হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, “আগে থেকে কোন কিছু না জানিয়ে এক মহিলার বেডরুমে চারজন পুরুষ ঢুকে এলেন ওকে ধরার জন্য। আপনাদের কোন লজ্জা শরম নেই। আর এখন বাড়ির লোকের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে শোভন চ্যাটার্জি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই নিজাম প্ল্যালেসে দেখা যায় শোভন চ্যাটার্জীর স্ত্রী রত্না নাগ চ্যাটার্জী এবং তার ছেলেকে। সেখানে রত্না চ্যাটার্জী বলেন, “শোভনদা রয়েছেন, ববিদাকে নিয়ে আসা হয়েছে, তাই এসেছি।” তবে স্বামীর গ্রেপ্তারি তাকে যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে তা তার শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট।