Ravichandran Ashwin: অজিদের বিরুদ্ধে বাদ পড়তে পারে টিম ইন্ডিয়ার এই ঘাতক বোলার! অন্য পরিকল্পনা করছেন রোহিতরা

 

Ravichandran Ashwin can replace Mohammad Siraj in the first eleven: রাত পোহালেই বিশ্বকাপের ফাইনাল। ২০২৩ এর কাপ যুদ্ধের শেষ ল্যাপে পরস্পরের মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। গোটা ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে তাই এখন একটাই প্রশ্ন ভারত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে নাকি ২০০৩ এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়া ঘরে তুলবে তাদের ষষ্ঠ শিরোপা। তবে ভারতীয় দল গোটা টুর্নামেন্টে যে ফর্মে ক্রিকেট খেলেছে তাতে ফাইনালে যদি অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে না পারে সেটাকেই বরং অঘটন বলে ধরে নেয়া হবে। কিন্তু ফাইনালের আগে ভারতীয় দলের প্লেইং ইলেভেন নিয়ে খানিকটা সংশয় দেখা গিয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে গত ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে খেলানো হতে পারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin)।

যদিও দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় দলের উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নামতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে যে ভাবে তাবরেজ শামসি এবং কেশব মহারাজের বিরুদ্ধে স্ট্রাগল করতে দেখা গিয়েছে তাতে অশ্বিনকে খেলানো হতেই পারে। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমেদাবাদের পিচে রবীন্দ্র জাদেজা এবং কুলদীপ যাদবের সাথে অশ্বিনকেও দেখা যেতে পারে। তাছাড়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন অশ্বিন। সেই ম্যাচেও পুরো ১০ ওভার বল করে এক মেডেন সহ মাত্র ৩৪ রান দিয়ে তিনি একটি উইকেট দখল করেছিলেন। তাই ফাইনালের আগে ইন্ডিয়ার টিম কম্বিনেশন নিয়ে সব থেকে বড় প্রশ্নই হল অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) প্রথম এগারোতে থাকবেন কিনা?

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মদনলাল বলেছেন যে, যদি আমেদাবাদের পিচ স্পিন সহায়ক হয় অর্থাৎ পিচ থেকে যদি টার্ন পাওয়া যায় তাহলে অশ্বিনের খেলার সুযোগ রয়েছে। এক দেশীয় গণমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন, ‘রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নির্বাচন পিচের অবস্থার উপর নির্ভর করবে। কিন্তু আমি মনে করি না অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারত বিজয়ী সংমিশ্রণ পরিবর্তন করবে।’ মদনলাল আরও বলেছিলেন, ‘তাবরেজ শামসিকে খেলতে অস্ট্রেলিয়া মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনি এবং কুলদীপ যাদবকে খেলতেও তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনি আমদাবাদে ব্যাট করার জন্য দুর্দান্ত ট্র্যাক পাবেন।’

অবশ্য আলাপচারিতার সেই প্যানেলের উপস্থিত ছিলেন অপর এক মহান ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাসকর। তিনি সরাসরি মদনলাল এর কথার বিরোধিতা করে জানিয়েছেন অশ্বিনকে খেলানো হলে বসতে হতে পারে মহম্মদ সিরাজকে। যিনি আবার এই মুহূর্তে ওয়ানডে বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে এর দুই নম্বরে রয়েছেন। তাছাড়া তিনি যে বিশ্বকাপে একেবারে খারাপ পারফর্ম করেছেন তেমনটি নয়। তাই ফাইনালের মত ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে মহম্মদ সিরাজকে বসিয়ে অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) খেলানোর মত ঝুঁকি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নাও নিতে পারে।

যদিও এদিন নেটে অশ্বিনকে বোলিং করতে দেখা গিয়েছে। অশ্বিন ছাড়াও অপর খেলোয়াড়রা ছিলেন কেএল রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঈশান কিষান এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। মূলত এই ট্রেনিং সেশনে রোহিত শর্মা তার পাওয়ারপ্লে ব্যাটিংয়ের প্র্যাকটিস সেরেছেন। এদিনের নেট সেশন দেখে বোঝাই যাচ্ছিল রোহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়া বোলার অ্যাডাম জাম্পার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার অনুশীলনটা সেরে নিলেন। যার কারণে এদিন নেটে উপস্থিত ছিল স্থানীয় দুই লেগ স্পিনার এবং একজন বাঁহাত স্পিনার।

এছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা দুইটি আলাদা ট্রেনিং সেশন সম্পন্ন করেন। যার মধ্যে একটি ডেথ ওভারে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের প্র্যাকটিসও ছিল। মূলত ট্রেনিং সেশনে অশ্বিনের বোলিংয়ের প্রতি ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের গভীর দৃষ্টিপাতই গোটা গুঞ্জনকে ইন্ধন জুগিয়েছে। অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) যদি ফাইনালে নাই খেলবেন তাহলে ফাইনালের মাত্র একদিন আগে রিজার্ভ বেঞ্চের বোলারকে এত গভীরভাবে নিরীক্ষণ করার কোন প্রয়োজন আছে কি? তাহলে হয়তো বা ফাইনালে ভারত তাদের লাইন আপে একটি পরিবর্তন আনতে পারে। এখন দেখার বিষয় একটাই যে, ফাইনালে ভারত নিজেদের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেই খেলতে নামে নাকি পিচের চরিত্র অনুযায়ী একাদশে পরিবর্তন আনে।