As a result of this move by the RBI, the Center is going to receive Rs 1 lakh crore as bonus: একটি রিপোর্ট এর ভিত্তিতে জানা যায় যে, চলতি বছর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় সরকারকে বোনাস হিসেবে দিচ্ছে বড় অংকের টাকা। বোনাসের পরিমাণ (Bonus of RBI) সত্যি আশ্চর্যজনক প্রায় ৮০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন টাকা। একপ্রকার বলা যায় কেন্দ্রীয় সরকার লটারি পেয়েছে। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাদের রাজস্ব ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারবে।
সবথেকে অবাক করা ঘটনা হলো, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রত্যেক বছর কেন্দ্রীয় সরকারকে বোনাস দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের দেওয়া এই বছরের বোনাস অর্থাৎ ডিভিডেন্ড (Bonus of RBI) গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ডিরেক্টররা বৈঠকে বসতে চলেছেন এই সপ্তাহের মধ্যেই। এই বৈঠকেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন সরকারকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার বিষয়ে। তবে গত অর্থবর্ষে আরবিআই সরকারকে বোনাস হিসাবে দিয়েছে ৮৭৪.২ বিলিয়ন টাকা। কিন্তু এই বছর আরবিআই কেন্দ্রীয় সরকারকে ডিভিডেন্ট (Bonus of RBI) দেবে প্রায় ১.০২ ট্রিলিয়ন টাকা।
চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কত থাকতে পারে সেই বিষয়ে একটি লক্ষ্য স্থির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মোট জিডিপির ৫.১ শতাংশে রাখার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এমতঅবস্থায় যদি আরবিআই কেন্দ্রীয় সরকারকে ১ ট্রিলিয়ন টাকা (Bonus of RBI) দেয়, তাহলে সেই রাজস্বের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রত্যেক বছর কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের লভ্যাংশের টাকার কিছু পরিমাণ দিয়ে থাকে। আরবিআই প্রতিবছর মোট ব্যালেন্স শিটের ৫.৫ থেকে ৬.৫ শতাংশ টাকা রেখে বাদ বাকি টাকা দিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। আরবিআই কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে। আবার ডলারের মূল্য পরিবর্তন, টাকা ছাপানোর ফি সহ বিভিন্ন ভাবে আয় হয় আরবিআই-এর। সেই আয়ের টাকা তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আবার আরবিআই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য ব্যালেন্স শিটের ৫.৫ থেকে ৬.৫ শতাংশ টাকা বিভিন্ন আপতকালীন তহবিল হিসেবে রেখে দেয়।