নিজস্ব প্রতিবেদন : রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) অর্থাৎ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রতিনিয়ত দেশের সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। সে রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক হোক অথবা কোন বেসরকারি ব্যাঙ্ক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মেনে যাতে প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে এবং সাধারণ মানুষদের অর্থ সুরক্ষার পাশাপাশি কোথাও যেন কোনরকম দুর্নীতি না হয় তার জন্য এমন নজরদারি। এইসব নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রেই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নগদে লোন দেওয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা (Cash Loans Guidelines) জারি করল।
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম এবং উপায় রয়েছে। এই সকল নিয়ম এবং উপায়ে পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকরা কেউ সরাসরি নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা পেয়ে থাকেন, আবার কেউ সোনা জমা রেখে লোনের টাকা পান। আবার সেই রকমই রয়েছে নগদ লোনের ((Cash Loans) ব্যবস্থা। নগদ লোন মূলত নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স সংস্থাগুলির তরফ থেকেই দেওয়া হয়ে থাকে। আর তাদের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে স্পষ্ট ভাবে তাদের নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশে যে সকল নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স সংস্থাগুলি রয়েছে তারা কোনোভাবেই গ্রাহকদের ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ লোন দিতে পারবে না। এই নিয়ম যাতে কঠোরভাবে ওই সকল সংস্থাগুলি মানে তার জন্য ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে চিঠি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওই চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ২৬৯ এসএস ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ২০ হাজার টাকার বেশি নগদে লোন পেতে পারেন না। কাজেই যে সকল নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স সংস্থা রয়েছে সেগুলি কোনভাবেই কোন গ্রাহককে ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ লোন দিতে পারবে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বিভিন্ন সময় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত এই সকল বিভিন্ন বিধি নিষেধ জারি করা হয়ে থাকে। সেই রকমই এবার তাদের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কোন সংস্থা এই নির্দেশিকা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।