RBI UPI Guidelines: ইউপিআই নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার! ট্র্যাক হতে পারে আপনার লেনদেন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইদানিংকালে দেশের বহু মানুষের হাতে পৌঁছে গিয়েছে ইউপিআই (UPI) পরিষেবা। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক সহজ সরল ব্যবস্থা থাকার কারণে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এইরকম একটি পরিষেবার। তবে এর পাশাপাশি যাতে ইউপিআই পরিষেবাকে হাতিয়ার করে কোথাও কোন রকম বেনিয়ম না হয় তার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নতুন নির্দেশিকা (RBI UPI Guidelines) জারি করা হলো।

Advertisements

গত ১৯ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটের সময় বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে প্রার্থী অথবা দলীয় নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার। এই ধরনের ঘটনা ঠেকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় নগদ টাকা বহন করার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালায়। ঠিক সেই রকমই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশিকা জারি করল।

Advertisements

ইউপিআই অথবা অনলাইন কোন মাধ্যমে যাতে ই-ফান্ড ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করা না যায় তার জন্য গত ১৫ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যে নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই নির্দেশিকার পর পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটররাও চরম সতর্ক। কেননা তারা এই নির্দেশিকা পালন না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Paytm UPI: পেটিএম ইউপিআই ব্যবহারকার করেন! এই কাজটি না করলে বন্ধ হয়ে যাবে লেনদেন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই গ্রাহকের মধ্যে টাকা লেনদেনের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্ড অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সমস্ত ধরনের ওয়ালেট অথবা ইউপিআই প্রদানকারী ফিনটেক সংস্থাগুলিকে। এক্ষেত্রে যে সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই নির্দেশিকা অমান্য করবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মূলত ভোট চলাকালীন যদি পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটররা কোন লেনদেনকে সন্দেহভাজন মনে করে তাহলে সেই লেনদেন ট্র্যাক করতে পারে। যদি দেখা যায় আগে কারো লেনদেন সেই ভাবে ছিল না অথচ ভোটের সময় লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে তাহলে তা ট্র্যাক করে রিপোর্ট পাঠাতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ভোটের সময় যাতে ই-ফান্ড ব্যবহার করে ভোটারদের আর্থিকভাবে প্রভাবিত করা না যায় তার জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।

Advertisements