নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষ আর নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা পয়সা বাড়ির মধ্যে ভরে রাখেন না। তারা নিজেদের টাকা পয়সা জমা রাখেন ব্যাঙ্কে। সেভিংস অ্যাকাউন্ট হোক অথবা অন্য কোন খাতে ব্যাংকেই বিনিয়োগ করতে তারা এখন বেশি পছন্দ করেন। আর ব্যাংক যাতে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা পয়সা নিয়ে কোনো রকম খামখেয়ালিপনা না করে তার খেয়াল রাখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে প্রতিনিয়ত এমন নজরদারি চালানোর পাশাপাশি দেশের যে সকল ব্যাংক রয়েছে সেগুলি কোনরকম যাতে খামখেয়ালিপনা না করে তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম জারি করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জারি করা সেই নিয়ম যদি কোন ব্যাংক অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নিয়ম অমান্য করা ব্যাংকগুলির উপর কখনো কখনো আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয়, কখনো আবার সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার কখনো কড়া পদক্ষেপ হিসাবে পুরোপুরি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করার পথও বেছে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঠিক সেই রকমই এবার দুটি সমবায় ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করল আরবিআই।
নিয়ম না মানার জন্য গত মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে দুটি সমবায় ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। যে দুটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেই দুটি ব্যাংকের পর্যাপ্ত মূলধন এবং আয়ের সম্ভাবনা ছিল না, আর সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বলে জানা যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই এই দুটি ব্যাংকের টাকা জমা নেওয়া এবং পরিশোধ করার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে দুটি সমবায় ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেই দুটি সমবায় ব্যাংক হল কর্ণাটকের শ্রী শারদা মহিলা সহকারী ব্যাঙ্ক এবং মহারাষ্ট্রের সাতারার হরিহরেশ্বর ব্যাঙ্ক। তবে এই প্রথম নয়, গত আর্থিক বর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একাধিক ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করার পাশাপাশি ১১৪টি ব্যাংকের উপর আর্থিক জরিমানা আরোপ করেছিল।