করোনা সঙ্কটে ভারতীয় অর্থনীতিকে কতটা সচল করতে পারে ‘হেলিকপ্টার মানি’

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচতে হেলিকপ্টার মানির দাওয়াই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনৈতিক সঙ্কট সাধারণত যাকে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার চরিত্র খুবই আলাদা। করোনা মহামারীর প্রভাব এক অন্য ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। যা নিছক চাহিদার সমস্যা নয়। বিশ্বব্যাপী এই সঙ্কট বাধা দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির সাপ্লাই চেনকে। বন্ধ হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ মানুষের আয়। বন্ধ ব্যাবসা বাণিজ্য, ফ্লাইট, হোটেল বুকিং। মানুষ তাদের ধার শোধ করতে পারছেন না। নতুন করে ধার নিতে পারছেন না। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন করে ঋণ নিতে পারছেনা। ভেঙ্গে পড়েছে সমস্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা।

Advertisements

Advertisements

এই সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল পরিমাণ মানুষ। এদের জন্য প্রয়োজন অর্থ। কিন্তু কিভাবে আসবে সেই অর্থ? বিপুল পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ছাপিয়ে সরকারের হাত দিয়ে এই সব মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। ভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তির নতুন এই অর্থনৈতিক অস্ত্রকেই বলে ‘হেলিকপ্টার মানি’। সোজা ভাষায় আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে করে টাকা ফেলা।

Advertisements

আমেরিকান অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রায়েডম্যান প্রথম এই হেলিকপ্টার মানির কথা বলেন। অর্থনৈতিক সঙ্কট অন্য ধরনের আকার নিলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থ ছাপিয়ে সরকারের মাধ্যমে সরাসরি জনগণকে দেবে চাহিদা বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করার জন্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে ‘হেলিকপ্টার মানি’ বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে। যদি ৫ শতাংশ রিলিজ করে দেওয়া যায় জিডিপি থেকে কোয়ান্টিটিভ ইজিং (মাত্রিক ঢিলা) পদ্ধতিতে। আরবিআইকে দ্রুত এই কোয়ান্টিটিভ ইজিং পুলিশ গ্ৰহণ করার মতামত দিচ্ছেন বহু বিশেষজ্ঞ। যা রাজ্য ও অর্থনৈতিক সংস্থাগুলিকে উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি একইরকম কথা সদ্য নোবেল জয়ী অর্থনীতি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও শোনা গিয়েছিল।

Advertisements