Gold Loan: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সোনার ঋণ (Gold Loan) যেন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সোনার বিনিময়ে বিপুল ঋণ দিচ্ছে। এদিকে গ্রাহকরাও এই ঋণের সুবিধা নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই প্রবণতা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। প্রশ্ন হল, এত সোনার ঋণ নেওয়ার পেছনের কারণ কী, আর কেনই বা RBI উদ্বেগে রয়েছে?
ঋণের সংখ্যা বাড়ছে, তবে সমস্যা কোথায়?
ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনার ঋণের (Gold Loan) অনুমোদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে, সোনার ঋণের বাজার দ্রুত আকাশচুম্বী হবে। তবে এই ঋণের অতিরিক্ত প্রবাহ কিন্তু আরবিআই-এর কাছে স্বস্তিদায়ক নয়। কারণ ব্যাঙ্কগুলো তাদের ঋণের প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছে এবং খারাপ ঋণ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
সোনার ঋণের প্রতি এত ঝোঁক কেন?
সোনার ঋণ সাধারণত সেই সময়ই নেওয়া হয় যখন অন্যান্য ঋণের উপায় বন্ধ হয়ে যায়। কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে সোনার বিনিময়ে ঋণ পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। তাছাড়া, কম সময়ে বেশি ঋণ পেতে হলে, সোনার ঋণ একটি আকর্ষণীয় বিকল্প। তবে এই সহজ ঋণের পেছনে ঝুঁকিও লুকিয়ে আছে। ব্যাঙ্কগুলো সোনার ঋণকে টপ-আপ এবং রোল-ওভারের মাধ্যমে আরও বাড়াচ্ছে, যা খারাপ ঋণের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।
RBI-এর নির্দেশ এবং কড়া মনোভাব
RBI সোনার ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলোর অনিয়ম সম্পর্কে অবগত হয়েছে এবং তৎপর হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্কগুলোকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, তিন মাসের মধ্যে তাদের সোনার ঋণের নীতি ও প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে, তা দ্রুত সংশোধন করতে হবে, যাতে সোনার ঋণ সেক্টরে বিপর্যয় না আসে।
আরও কোন ঋণে চোখ রাখছে RBI?
সোনার ঋণ (Gold Loan) ছাড়াও, নতুন ও পুরনো গাড়ির ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ এবং গৃহ ঋণের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে সোনার ঋণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। সোনার মূল্যায়ন যথাযথভাবে না করলে, ব্যাংকগুলোর খারাপ ঋণের সংখ্যা বাড়তে পারে। এই কারণে RBI ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে এবং ঋণের নিয়ম আরও কঠোর করতে বলেছে।