Vande Bharat Express: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সব থেকে বেশি চর্চিত এবং প্রাইম পরিষেবা দেওয়া ট্রেন হলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এর টিকিট মূল্য বেশি হওয়াতেও ভারতীয় রেল যাত্রীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে এই ট্রেন। এর পছন্দের অন্যতম কারণ হলো হাই স্পিড এবং উন্নত পরিষেবা। সব মিলিয়ে এখন গোটা ভারতের প্রায় প্রতিটি রুটেই দেওয়া হয়েছে এই হাইস্পিড পরিষেবা। যাত্রীদের মধ্যেও এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। এবার কাশ্মীর রুটেও ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এই রুটে সর্বচ্চো গতিতে ছুটবে বলে জানা যাচ্ছে এবং যার কাজও চলছে জোর কদমে।
খবর অনুযায়ী এবার নিউ দিল্লি (New Delhi) থেকে শ্রীনগর (Shrinagar) পর্যন্ত ছুটবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন (Vande Bharat Express)। ট্রেনটি ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলতে চলছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর বন্দে ভারত ট্রেনের স্লিপার ভার্সনটি এই রুটে চালানোর কথা ভাবছে রেল দপ্তর। তবে সরকারের তরফে এখনও কবে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের লঞ্চ করবে এই সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এছাড়া জানা যাচ্ছে দিল্লি-শ্রীনগর রুটে ট্রেনটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রুটে চালানো হবে।
আর এই জন্যই ট্রেনটির পরিষেবায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে আরও উন্নতি করা হচ্ছে। সব কাজ সময় মতো শেষ হলে আগামী বছরেই জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে দিল্লি-শ্রীনগর রুটে বন্দে ভারত ট্রেনের (Vande Bharat Express) যাত্রা। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই এর উদ্বোধন হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে PMO দপ্তরেও আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:Trains for Kumbh Mela: সামনেই কুম্ভমেলা, ঘোষণা এক গুচ্ছ স্পেশ্যাল ট্রেন
নিউ দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটারের। এই দীর্ঘ পথে ছুট ধরতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) স্লিপার ভার্সনটি। এবং সময় লাগতে পারে ১৩ ঘণ্টা মাত্র। এই ট্রেনটি নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকালেই ৮টার সময় পৌঁছে যাবে শ্রীনগর স্টেশনে। দীর্ঘ এই যাত্রা পথে আম্বালা ক্যান্ট জংশন, লুধিয়ানা জংশন, কাঠুয়া, জম্মু তাওরি, শ্রী মাতা বৈষ্ণ দেবী জংশন, কাটরা সঙ্গাদালান এবং বানিহাল স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই নতুন রুটে বন্দে ভারত ট্রেনের (Vande Bharat Express) ভাড়া এখনও জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে ভাড়া। সূত্র অনুযায়ী এসি টিওরের ভাড়া হতে পারে ২০০০ টাকা এবং ২ টিওরের ভাড়া হতে পারে ২৫০০ টাকা। এছাড়া এসি ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া হতে পারে ৩০০০ টাকা। এতে থাকছে একাধিক নতুন সুবিধাও। জানা যাচ্ছে ঠাণ্ডা রুটের ট্রেন হওয়ায় হিটারের মাধ্যমে গরম জল ব্যবহারের মতো একাধিক ব্যবস্থা থাকবে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে এই ট্রেনের কোচ তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।