The Reason Behind The color of beer bottle is green and brown: বর্তমান আধুনিক যুগে যেকোনো অনুষ্ঠানেই বিয়ার হলো গলা ভেজানোর অন্যতম সেরা পানীয়। কেউ পছন্দ করে ঠান্ডা বিয়ার আবার কেউ পছন্দ করে রুম টেম্পারেচারে থাকা বিয়ার। শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে বহু মানুষ যেকোনো অনুষ্ঠানে কিংবা এমনিতেও বিয়ার খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বিয়ার প্রেমীরা কখনো খেয়াল করেছেন বিয়ার বোতলের (Beer Bottle) রং কেনো খয়েরী কিংবা সবুজ হয়? এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য? জানেন কি আপনারা?
আপনার অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে আজকের প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একটি ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী মদের ব্যবসার বেশিরভাগ লাভের অংশ আসে বিয়ার বিক্রির মাধ্যমে। অনেকেই হয়তো জানেন না আগে বিয়ার রাখা হতো স্বচ্ছ কাঁচের বোতলে (Beer Bottle)। কিন্তু সূর্যের আলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বিয়ারের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে এক দুর্গন্ধের সৃষ্টি করতো। এর থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া গেছিল জানেন কি সেটা?
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্বচ্ছ কাঁচের বোতলের পরিবর্তে খয়েরী রঙের বোতলে (Beer Bottle) বিয়ার রাখার ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই ধরনের রং সূর্যের আলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বিয়ারকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যার ফলে বিয়ার আরো অনেক দিন নিশ্চিন্তে বিক্রেতারা বিক্রি করতে পারবে। খয়েরী রঙের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির বিয়ারের বোতল হয় গাঢ় সবুজ রঙের। এর পেছনের আসল উদ্দেশ্য কি?
আরও পড়ুন ? Wine New Packaging: এবার ফ্রুটির মত পান করুন মদ! কেউ টেরও পাবে না, আসছে নতুন প্যাকেট
১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠিক সেই সময়েই এই গাঢ় সবুজ রঙের বিয়ারের বোতলের প্রচলন শুরু হয়। যুদ্ধের সময় খয়েরী রঙের বিয়ারের বোতলের টান দেখা দেয়। বর্তমান বাজারে আপনি বাদামি কিংবা সবুজ সব রঙের বোতলে বিয়ার বিক্রি হচ্ছে তা দেখতে পাবেন। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির বিয়ারের বোতলের রং গাঢ় নীল কালারের হয়।
এর থেকে বোঝা যায় যে বিয়ার সব সময় রাখতে হবে কোন গাঢ় রঙের কোনো বোতলে (Beer Bottle)। এই ধরনের বোতলে বিয়ার রাখলে তা ভালো থাকবে অনেকদিন। এছাড়াও একটা চমকে দেওয়ার মতো খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, যা শুনে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। বিয়ার নাকি মানুষের অন্ত্রের পক্ষে খুবই উপকারী, এছাড়া এর দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রয়েছে। গবেষণাটি করা হয়েছে, দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ ইন হেলথ টেকনোলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস নামক সংস্থায়। আসলে বিয়ার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা গঠন করতে সাহায্য করে। আর এই মাইক্রোবায়োটা স্থূলতা, ডায়াবিটিস এবং কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের মতো খুব সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।