Lata Mangeshkar: বিবাহিত না হয়েও কেন সিঁথিতে সিঁদুর পরতেন লতা মঙ্গেশকর! জানুন আসল কারণ

That’s why Lata Mangeshkar wore vermilion in Sinthi despite not being married: ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আজও ভারতবাসীর মনে অমর হয়ে আছেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। সঙ্গীত জগতের একজন উজ্জ্বল তারকা হিসাবে তিনি একাধিক উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তার কন্ঠের যাদুতে মুগ্ধ অনুরাগীরা তাকে “সুরের রাণী”, “ভারতের নাইটেঙ্গেল” ইত্যাদি নানা অভিধায় অভিহিত করেছেন। ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, একাধিক ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি রয়েছে তার ঝুলিতে।

লতা মঙ্গেশকরকে (Lata Mangeshkar) সরস্বতীর বরকন্যাও বলে থাকেন অনেকে। যার কন্ঠে একের পর এক উঠে এসেছে কালজয়ী বিভিন্ন গান, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনুরাগীদের কৌতূহল এর অন্ত নেই। যদিও লতা মঙ্গেশকর এই ধরনের সকল বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়েইl রেখেছিলেন সারা জীবন। কখনোই অপ্রয়োজনে খুব একটা মুখ খুলতেন না তিনি।

তবে সারা জীবন বিতর্ক থেকে একেবারে দূরে নিজেকে রাখতে পারেননি তিনি। কখনো তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন, আবার কখনো কর্মজীবনে তার ‘পলিটিক্স’ করার অভিযোগ উঠেছে বারবার। যদিও এই সব বিতর্ক গুলি নিয়ে কখনোই মুখ খুলতেন না তিনি। তবে তার ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে একটি বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তিনি অকপটে মুখ খুলে ছিলেন। বিবাহিত না হয়েও কেন তিনি মাঝে মাঝে সিঁদুর পড়েন সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন লতা।

আরও পড়ুন 👉 লতা মঙ্গেশকরের সেরা ৫টি বাংলা গান, যেগুলি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন

জানা যায় এক সময় BCCI প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুনগাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল লতা মঙ্গেশকরের। রাজ সিং আসলে লতার দাদা হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ভাল বন্ধু ছিলেন বলে জানা যায়। দাদার বন্ধু হওয়ার সূত্র ধরেই বোনের সঙ্গেও তাঁর পরিচিতি তৈরি হয় তার। শোনা যায় সেই সময়ই তারা একে অন্যকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। লতা মঙ্গশকরকে নাকি তিনি ভালবেসে নাম দিয়েছিলেন মিঠু। শুধু তাই নয়, তাদের ভালোবাসার সম্পর্ককে পরিণতি দিতে তারা একটা সময় বিয়ে করবেন বলেও স্থির করেছিলেন। কিন্তু সে সম্পর্কের পরিণতি আর বিবাহ পর্যন্ত অগ্রসর হয়নি।

তাদের প্রেম সম্পর্কের ভাঙনের মূল কারণ হিসেবে জানা যায় রাজ সিং এর বাবার এই সম্পর্কের প্রতি তীব্র বিরোধিতা। রাজ সিং এর বাবা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন লতা রাজ পরিবারের মেয়ে নয় বলে তার সঙ্গে তিনি নিজের ছেলের বিয়ে দেবেন না। এরপর আজীবন কুমারী থেকে যান লতা। তবে অনেকেই মনে করেন হয়তো গোপনে বিয়ে করেছিলেন তারা, তাই তার প্রতীক হিসেবে মাঝে মাঝে সিঁদুর ব্যবহার করতেন লতা। যদিও লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) জানিয়েছিলেন তিনি কুমারী, কিন্তু তিনি সঙ্গীতের নামে সিঁদুর পড়েন।