নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বাজারে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে। তা সত্ত্বেও কেন? পেট্রোল-ডিজেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে প্রতিনিয়ত খোঁচা দিচ্ছেন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীরা ছাড়াও সম্প্রতি খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
— Subramanian Swamy (@Swamy39) February 2, 2021
শুক্রবার (৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২১) কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৮৮.৩০ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৮০.৭১ টাকা। দুটি ক্ষেত্রেই গত দুদিনে দাম অনেকটাই বেড়েছে। পেট্রোলের ক্ষেত্রে গতকালকের তুলনায় দাম বেড়েছে ২৯ পয়সা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ৩০ পয়সা। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলের বেসিক মূল্য ২৯ টাকা ৩৪ পয়সা (৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২১)।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভারতে এই দাম বৃদ্ধির কারণে রয়েছে কেন্দ্র সরকারের ট্যাক্স, রাজ্য সরকারের ভ্যাট, বিক্রেতাদের কমিশন, সেস। আর এসবের পর যখন পেট্রোল ডিজেল সাধারণ মানুষদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে তখন দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও।
পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে কত টাকা খরচ হওয়ার পর তা সাধারণ নাগরিকদের হাতে আসে তার হিসেব (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-র হিসেব অনুযায়ী) করলে দেখা যায়, গতকাল ভারতে পেট্রোলের বেসিক মূল্য ছিল ২৯.৩৪ টাকা। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেন্দ্র সরকারের প্রায় ৩২ টাকা ট্যাক্স, রাজ্য সরকারগুলির ভ্যাটের পরিমাণ প্রায় ২০ টাকা।
কেন্দ্র সরকারের ট্যাক্স এবং রাজ্য সরকারের ভ্যাটের পর রয়েছে বিক্রেতাদের কমিশন। এরপর আবার রয়েছে সেস। প্রতিদিনের দামের ভিত্তিতে এই ট্যাক্স, ভ্যাট, কমিশন এবং সেস পরিবর্তন হয়ে থাকে। মোটের উপর সবকিছু মিলিয়ে পেট্রোল ডিজেল যখন সাধারণ মানুষদের হাতে আসছে তখন আকাশছোঁয়া দামে পরিণত হচ্ছে।
সম্প্রতি আবার বাজেটে পেট্রোল-ডিজেলের দামের উপর বসেছে কৃষি সেস। পেট্রলে বসেছে লিটার প্রতি ৪ টাকা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে বসেছে লিটার প্রতি ২ টাকা ৫০ পয়সা। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন এই সেসের প্রভাব সাধারণ মানুষদের উপর প্রত্যক্ষভাবে পড়বে না। তা যাবে ট্রেন সরবরাহকারী সংস্থাগুলির পকেট থেকে।