This is the reason why some medicine strips have a red mark on the back: দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয়। কখনো কখনো সাধারণ কোনো অসুখ বিসুখ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজেরাই ওষুধ দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাই। কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন আপনি যে ওষুধের পাতা (Medicine Strip) থেকে ওষুধ নিয়ে খাচ্ছেন সেই ওষুধের পাতাতে অনেক রকম দাগ দেখতে পাওয়া যায়। অনেক ওষুধের পাতাতে দেখা যায় লাল রঙের দাগ থাকতে।
ওষুধের পাতাতে (Medicine Strip) লাল দাগ কেনো থাকে সে নিয়ে অনেকেই অবগত নন। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কিছু ওষুধের পাতা ও ওষুধের বাক্সে কেনো এই লাল এই রঙের দাগটি থাকে? আজ সেই অজানা বিষয় সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। আসলে ওষুধের প্যাকেটে লাল রঙের দাগ থাকার অর্থ হল এই ওষুধটি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা যাবে না। এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহারও করা যাবে না।
আসলে ওষুধ বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। যে কোনো ধরনের অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে চিকিৎসক সেই রোগীর সমস্ত ধরনের রোগ লক্ষণ বিচার বিবেচনা করে একটি নির্দিষ্ট ওষুধ দেন। কিন্তু যখন আমরা চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খেয়ে ফেলি এখন নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ও থেকে যায়। যে সমস্ত ওষুধে এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাবনা বেশি সেগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিক্রি করা বা খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। এই ধরনের ওষুধ গুলিকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতেই তাই এর গায়ে লাল রঙের দাগ করা থাকে।
আরও পড়ুন ? Tata Cancer Medicine: শরীরে ফিরে আসবে না ক্যান্সার, জেনে নিন টাটাদের ১০০ টাকার সেই ওষুধের নাম
তাই পাতায় লাল দাগ (Medicine Strip) করা ওষুধ গুলি কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেয়ে নেওয়া উচিত নয়। এমন ভাবে নিজের মতো করে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া যে কোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে এমনকি প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে। কারণ বিশেষত বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
এই কারণেই যেসব ওষুধের পাতায় লাল দাগ করা থাকে সেগুলি কখনোই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা উচিত নয়। এসব ওষুধ গুলি কখনোই নিজে কিনে খেয়ে নেওয়া ও উচিত নয়। তাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে কোনো ধরনের রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খাওয়া।