নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারের মুখে ছিলেন তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দলের বিপুল জয় তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পথে বসায়। আর সেই মোতাবেক সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় তাকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের না হওয়ায় শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে হলফনামা জমা দেন। যে হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব নিকেষ।
হলফনামা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে ৬২,৫৯০ টাকা নগদ। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কে রয়েছে মোট ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২.৭১ টাকা। এছাড়াও ন্যাশনাল সার্টিফিকেট সেটিংসে রয়েছে ১৮৪৯০ টাকা। এর পাশাপাশি তাঁর নামে যে পরিমাণ গয়না রয়েছে তার বাজারমূল্য হলো ৪৩,৮৩৭ টাকা। সর্বসাকুল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার ২৯.৭১ টাকা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ক্ষেত্রে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেই হলফনামা অনুযায়ী সেই সময় তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬.৭২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশ করা হলফনামা অনুযায়ী মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩০,৪৫,০১৩ টাকা। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমেই কমে চলেছে।
অন্যদিকে হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনরকম বাড়ি, গাড়ি অথবা কোন ধরনের ঋণ নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যার নামে কোন রকম বাড়ি, গাড়ি, চাষযোগ্য বা অচাষযোগ্য জমি না থাকার মত দৃষ্টান্ত ভারতের রাজনীতিতে অনন্য।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শুক্রবার আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুভ গণেশ চতুর্থীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন।