করোনাকালে ফের রেকর্ড মদ বিক্রি রাজ্যে, কোষাগারে এলো এই বিপুল অর্থ

নিজস্ব প্রতিবেদন : মদ বিক্রির উপযুক্ত সময় কি করোনাকাল! খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ করোনা পূর্ববর্তী সময়ের আগে যে পরিমাণ মদ রাজ্যে বিক্রি হতো তার তুলনায় অনেক বেশি মদ বিক্রি হয়েছে করোনাকালে। গত ১৮ মাসে মদ বিক্রি করার নিরিখে রেকর্ড তৈরি করল রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের কোষাগারে এসেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে তাতে শতাংশের বিচারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে দেশী মদ। তবে বিদেশী মদের বিক্রির পরিমাণ পিছিয়ে রয়েছে এমনটা নয়। তাদের বিক্রিও অনেকটাই বেড়েছে। এই সকল সফলতা পাওয়া গিয়েছে মূলত অনলাইনে মদ বিক্রি, দাম, পড়শী রাজ্যের দামের সমান অথবা কম করার পরিপ্রেক্ষিতে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের জুন থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মদ বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে আবার ২০২০-২১ সালে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থ বছরের এই নয় মাসে আয় ১০ হাজার কোটি টাকা পার করে ফেলেছে। পরিসংখ্যান দেখে আবগারি দপ্তর অনুমান করছে গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে কমকরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা বেশি আয় হবে রাজ্য সরকারের।

করোনাকালে এই ১৮ মাসে পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে সেই মদ বিক্রি এর আগের দুটি অর্থবর্ষের মদ বিক্রিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে ২০২১ সাল থেকে সবথেকে বেশি বেড়েছে মদ বিক্রি। এর মধ্যে আবার দেশী মদ বিক্রি করে আয় অনেক বেড়েছে। বিক্রি হওয়া মদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ দেশী মদ। বাকি রয়েছে বিয়ার এবং বিদেশী মদ।

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমদিকে দেশের প্রতিটি জায়গার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে মদের দোকান খোলা হলেও তাতে বিপুল পরিমাণে ট্যাক্স বসায় রাজ্য সরকার। সেই সময়ই কিছুটা হলেও কমে মদ বিক্রি। তবে পরবর্তীকালে নতুন দাম ধার্য করায় ফের মদের বিক্রি গতি পায়। এর পাশাপাশি দেশী এবং বিদেশী মদের দাম কমানো ও একাধিক সিদ্ধান্তের ফলে চোলাই মদ বিক্রি কমেছে রাজ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে।