নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘কেশরি’ ছবির বিখ্যাত গান ছিলো ‘তেরি মিট্টি’ গানটির কিছু বদল হলো। এই গানটি নতুন আঙ্গিকে লেখা হলো আবারও। মূল গানটিতে সুর দিয়েছিলেন অর্কপ্রভ। বদল করা হলেও গানটিতেও সেই চেনা সুরই আছে। গানের কথায় কিছু বদল আনা হয়েছে। মনোজ মুন্তাশির গানের কথাতে কিছু বদল এনেছেন। কিন্তু কেন গানে এই বদল আনা হলো?
করোনা মহামারীর এই যুদ্ধে সামনে থেকে তারা লড়াইটা করছেন তাদের উদ্দেশ্য করে এই নতুন গানটি লেখা হলো।
১) পুলিশ : লকডাউনে গোটা দেশের মানুষ যখন গৃহবন্দি। সবাই যখন এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে বসে আছেন, সেই মুহূর্তে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশরা লড়াই করে যাচ্ছেন। রাস্তায় নেমে অসচেতন জনতাকে সচেতন করছেন পুলিশকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কর্তব্য পালনে তারা অনড়।
২) স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তার নার্স : এরা যেন যমদূতের সঙ্গেই লড়াই করছেন এই মুহূর্তে।বাড়ি ঘর ছেড়ে হাসপাতালে পরে আছেন দিনের পর দিন। দেশকে করোনা মুক্ত করতে এনারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাতে জীবন গেলে যাক! জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই তারা সেবা করছেন।সেনাদের মত এনারাও দেশ রক্ষা করছেন। এরপরও মানুষ স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের ঘরছাড়া করছেন করোনা সংক্রমণের ভয়ে। আশ্রয়হীন হয়েও তারা সেবা করছেন।
তাই এই সব দেশের রিয়েল হিরোদের নিয়েই লেখা হলো ‘তেরি মিট্টি’ গানটি নতুন করে। করোনার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই উৎসর্গ করা হল এই গান।
গানের শেষে অক্ষয় কুমার বলেছেন, “ডাক্তারদের ভগবানের রূপ বলা হয়। কিন্তু আজ করোনা ভাইরাসের সাথে যে যুদ্ধ তারা করছে দেখে মনে হচ্ছে ভগবানই স্বয়ং ডাক্তারদের রূপ নিয়ে ধরিত্রীতে আবির্ভূত হয়েছেন।”