নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে যখন চলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপ, চলছে লকডাউন। যখন মিনিটে মিনিটে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে বিঁধছে আশঙ্কা আর অস্বস্তি। জিনিসপত্রের দামও দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। আর এসবের ফলে মধ্যবিত্তদের পক্ষে রীতিমতো কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসার চালানো। এ যেন নুন আনতে পানতা ফুরানোর দশা। জিনিসপত্রের বিভিন্ন দামের সঙ্গে সঙ্গে আবার রান্নার গ্যাসের দাম, কখনো আকাশ ছোঁয়া আবার কখনো কমে যাওয়া। যা মধ্যবিত্তের পক্ষে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো হয়ে উঠেছিল। তবে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি, বিশেষ করে লকডাউনের পরিস্থিতিতে। মে মাসের শুরুতে বেশ কিছুটা কমে গেল ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম।
মধ্যবিত্তের হেঁসেলে স্বস্তি দিয়ে কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার পিছু কমেছে ১৯০ টাকা করে। ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমে দাঁড়ালো ৫৮৪.৫০ টাকা। জেলায় জেলায় মিলছে ৫৯৪ টাকায়। অন্যদিকে ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমেছে ২৬২.৫০ টাকা। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই রান্নার গ্যাসের দাম দাঁড়ালো সিলিন্ডার প্রতি ১০৮৬ টাকা।
রান্নার গ্যাসের দাম গত পর পর দুমাস কমতে দেখা গিয়েছে। আবার এই মাসেও দাম কমে তা পর পর তিনবার দাম কমলো। তবে এমাসে দাম কমলো বিপুল পরিমাণে। যেখানে একটা সময় গ্যাস সিলিন্ডার বুক করার জন্য গ্রাহকদের ১০০০ টাকার কাছাকাছি দিতে হতো, তখন বর্তমানে বুক করতে দিতে হবে মাত্র ৫৯৪ টাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন লকডাউনেরঠেলায় পড়ে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তখন এই বিপুল পরিমাণে দাম কমা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে অবশ্যই স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ ডোমেস্টিক গ্যাসের ক্ষেত্রে দাম কমেছে সিলিন্ডার প্রতি ১৯০ টাকা আর কমার্শিয়াল গ্যাসের ক্ষেত্রে সিলিন্ডার প্রতি দাম কমেছে ২৬২.৫০ টাকা।
গ্যাসের দাম রাজ্যের ভিত্তিতে
- দিল্লি – ৬১১.৫০ টাকা (মে) ৭৪৪.০০ টাকা (এপ্রিল)
- কলকাতা – ৫৮৪.৫০ টাকা (মে) ৭৭৪.৫০ (এপ্রিল) টাকা
- মুম্বাই – ৫৮৯ টাকা (মে) ৭১৪.৫০ টাকা (এপ্রিল)
- চেন্নাই – ৫৬৯.৫০ টাকা (মে) ৭৬১.৫০ টাকা (এপ্রিল)
- গুরগাঁও – ৫৮৮.৫০ টাকা (মে) ৭৫০.০০ টাকা (এপ্রিল)
- ব্যাঙ্গালোর – ৫৮৫ টাকা (মে) ৭৪৪ টাকা (এপ্রিল)।
কিন্তু কেন এভাবে গ্যাসের দাম কমা বাড়া হয় এটা কি জানা আছে?
গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমা বাড়ার পিছনে রয়েছে বিদেশি মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের হিসেব ও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক দর। সেই অনুযায়ীই এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। আর যেহেতু এলপিজি গ্যাসের এই মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোচিত বিভিন্ন সময়ে এলপিজি গ্যাসের দাম তাই কমে, আবার কখনো অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যায়। আর গ্যাসের এইভাবে দাম কমা বাড়ার জন্য মানুষ কখনো অস্বস্তিতে পড়েন আবার কখনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।