PM কিষাণ যোজনা প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষকদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি বা পি-এম কিষাণ যোজনা প্রকল্পে ৬,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেবার বন্দোবস্ত আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা তিনটি সমান কিস্তিতে অর্থাৎ প্রত্যেকবার শর্ত পূরণকারী আবেদনকারীরা ২০০০ টাকা করে পাবেন। এই টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়।

Advertisements

Advertisements

এই প্রকল্পে কৃষকরা কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন

Advertisements

এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজন হয় রাজ্য সরকার মনোনীত নোডাল অফিসার বা পাটওয়ারি বা রাজস্ব আধিকারিকের কাছে আবেদন পত্র জমা দেওয়া। আবার কেউ ইচ্ছে করলে কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়েও নির্ধারিত ফিজ জমা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

কৃষক নিজের নিজের ঘরে বসেও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এর জন্য সুবিধা রয়েছে অনলাইনের। পিএম-কিষান প্রকল্পের (PM-KISAN SCHEME) ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।

নাম নথিভুক্ত করতে গেলে যা যা করতে হবে

১. প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in-এ ক্লিক করে সেখানে প্রবেশ করতে হবে।

২. সেখানে দেখতে পাবেন ‘Farmers corner’ নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে ক্লিক করতে হবে।

৩. তারপর দেখতে পাবেন ‘New Farmer Registration’ রয়েছে।

৪. যেখানে আপনার আধার নম্বর ও ক্যাপচা কোড দিতে হবে।

৫. পরের পাতায় আবেদনকারীর যাবতীয় বিবরণ দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর আধার নম্বর ভেরিফিকেশন করা হবে। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনি এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন।

এগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও যদি অ্যাকাউন্টে টাকা না আসে, তাহলে নিজের নিজের মোবাইল নম্বর এবং ব্যাঙ্ক নম্বর দিয়ে পোর্টালে সার্চ করতে বা খুঁজতে হবে। ফোন নম্বরের মাধ্যমেও সুবিধা পেতে পারেন। হেল্পলাইন নম্বর ১৫৫২৬১, ১৮০০১১৫৫৩৬ অথবা ০১১-২৩৩৮১০৯২ নম্বরে ফোন করে সমস্যার কথা জানানো পারবেন আবেদনকারীরা।

তবে এই প্রকল্প এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া, অন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির বাস্তবায়ন করেছে, যার ফলে লাভবান হয়েছেন ৮.৪৫ কোটি কৃষক। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কেন্দ্র সরকার আবেদন করেছিল রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করার জন্য। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের সহায়তার জন্য রাজ্য সরকারের রয়েছে একটি আলাদা প্রকল্প ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্প’।

Advertisements