আপাতত ট্রেন চলাচলে না, পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো রেল দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩০ শে জুন পর্যন্ত দেশে পঞ্চম দফার লকডাউন জারি থাকায় নিত্যদিনের লোকাল, প্যাসেঞ্জার এবং সারবান ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল রেল। তবে ১লা জুলাই থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেনের টিকিট বুকিং শুরু হয়েছিল। যে কারণে মনে করা হচ্ছিল জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকেই দেশে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রেল দপ্তর সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত নিত্যদিনের লোকাল মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার এবং সারবান ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে না। আগস্ট মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই সকল ট্রেনের পরিষেবা।

তবে লোকাল, মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার এবং সারবান ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও যে সকল বিশেষ ট্রেন চলাচল করা শুরু করেছিল সেগুলি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে। পাশাপাশি যেসকল যাত্রীরা জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ট্রেনের টিকিট বুক করেছিলেন তাদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বিশেষ ট্রেন ছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে যে সকল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলছিল সেই ট্রেনগুলি চাহিদামতো চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে রেল দপ্তরের তরফ থেকে।

দেশে জনতা কারফিউ জারি হওয়ার দিন থেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে রেল দপ্তরকে। দীর্ঘদিন যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ থাকার পর মে মাসের ১ তারিখ থেকে প্রথম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। তারপর ১৫ জোড়া এবং পরে আরও ১০০ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল দপ্তর। আর এই সকল সিদ্ধান্ত দেখে মনে করা হচ্ছিল খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় রেল স্বাভাবিক হওয়ার দিকে ছুটছে। কিন্তু এদিনের সিদ্ধান্তের পর আপাতত রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা পড়ল ১২ই আগস্ট পর্যন্ত।

অন্যদিকে দেশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০৫-এ। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ পড়ছে সরকার থেকে আমজনতার।