নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল জর্জরিত হয়ে পড়েছিল দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে পুনরুদ্ধার করতে তারা প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হয়। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিম আইপ্যাক ভোটের আগেই বিভিন্ন পরিকল্পনা এনে দলের সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করে। তবে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছে তৃণমূল এবং আইপ্যাক-এর বিচ্ছেদ নিয়ে।
বর্তমান সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিচ্ছেদ এখনো ঘোষণা না হলেও দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা অব্যাহত রয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিমের উপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটাই রুষ্ট যে দূরত্ব চরমে পৌঁছেছে। এখন দলীয় কাজকর্ম সাংগঠনিক নেতাদের দিয়েই করাতে চাইছেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক-এর কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে দলের অন্দরে দু’ধরনের মতামত রয়েছে। দলের অন্দরে অনেকেই মানেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা পাওয়ার পর প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিভিন্ন দাওয়াই প্রচুর কাজে আসে। তবে সমস্যা হলো, নেত্রীর কাছে অভিযোগ এসেছে, প্রশান্ত কিশোরের টিম বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের গণ্ডি অতিক্রম করছে।
প্রশান্ত কিশোরের টিম কেবলমাত্র নেত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে মান্যতা দিচ্ছেন না বলে জানা যাচ্ছে। এর ফলে দলের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা অপমানিত বোধ করছেন। জানা যাচ্ছে, এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি নেত্রীর সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছেন। এসবের কারণেই বিব্রত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরই মধ্যে আবার পুরো ভোটের তালিকা নিয়ে জটিলতা আরও একটু বাড়ে। এরপর আবার আইপ্যাক-এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে কাজ না করার কথা। এই বার্তা পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ লিখে পাল্টা উত্তর দেওয়াই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।