পোস্ট অফিসের RD গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, না জানলেই আর্থিক ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর মার্চ মাসে থেকে জারি হয় লকডাউন। এই লকডাউন চলাকালীন দেশের সাধারণ মানুষকে বাড়ির মধ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় কাজকর্ম হারিয়ে অধিকাংশ মানুষ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিলেন। আর এই সংকট চলাকালীন সাধারণ মানুষদের সামনে নানান ধরনের সুবিধা তুলে ধরেছিল কেন্দ্র সরকার। ঠিক তেমনই ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, পোস্ট অফিসের RD অ্যাকাউন্টের মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাসের কিস্তি আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্ত জমা করা যাবে। RD অ্যাকাউন্ট ছাড়াও রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও একই ঘোষণা করা হয়েছিল ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে। আর এক্ষেত্রে বলা হয়েছিল দেরিতে কিস্তির টাকা জমা দিলেও কোনো রিভাইভাল অথবা ডিফল্ট ফি নেওয়া হবে না।

ডাক বিভাগের তরফ থেকে সেসময় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, “RD স্কিম, ১৯৮১-র ৭ (২) অনুচ্ছেদ এবং RD স্কিম, ২০১৯-এর ৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অ্যাকাউন্টগুলি চালু রাখতে আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাসের কিস্তির টাকা জমা করলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের এই চার মাসের জন্য কোনো ডিফল্ট ফি নেওয়া হবে না।”

আর এই জুলাই মাস টাকা জমা করার শেষ মাস, পোস্ট অফিসের RD গ্রাহকদের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অতি অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ এখনো পর্যন্ত এই সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানো সম্পর্কিত কোনরকম বিজ্ঞপ্তি ভারতীয় ডাক বিভাগ থেকে জারি করা হয়নি। সুতরাং নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে ৩১শে জুলাই কেই শেষ দিন হিসাবে চলতে হবে গ্রাহকদের এবং তার মধ্যেই তাদের বকেয়া টাকা জমা করে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা করে দিলে কোন ডিফল্ট ফি লাগবে না। আর দেরি হলেই এই ডিফল্ট ফি দিতে হবে গ্রাহকদের। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পোস্ট অফিসের RD গ্রাহকদের জানা না থাকলেই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

ভারতীয় ডাক বিভাগের RD অ্যাকাউন্ট

ভারতীয় ডাক বিভাগের RD অ্যাকাউন্ট হল কিস্তির মাধ্যমে লাভজনক সঞ্চয়ের অন্যতম মাধ্যম। এই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পর আবেদনের ভিত্তিতে মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো যায়। RD গ্রাহকরা ৫.৮% হারে বার্ষিক সুদ পেয়ে থাকেন। এই সুদ গণনা হয়ে থাকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে।

প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট চালানো যায়। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা জমা দিলে ছাড়ের সুবিধা থাকে। সে ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য ১০ টাকা এবং ১২ মাসের জন্য ৪০ টাকা ছাড় দেওয়া হয়।

এই RD অ্যাকাউন্ট গ্রাহকরা পাঁচ বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট খুললেও তিন বছর চালানোর পর ম্যাচিউরিটি হওয়ার আগেই সেই টাকা ইচ্ছা করলে তুলে নিতে পারেন। অফলাইনে টাকা জমা দেওয়া ছাড়াও অনলাইনে এই টাকা জমা দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে আইপিপিবি সেভিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা জমা করতে হবে।