নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশীয় টিকা কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনের পর এবার আসতে চলেছে মুকেশ আম্বানির সংস্থার করোনা টিকা। বেশ কিছুদিন ধরেই এই টিকা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল রিলায়েন্স। ভারতের সবথেকে বড় বেসরকারি সংস্থা লাইফ সাইন্স শাখার তরফ থেকে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি মিলেছে। ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বর্তমানে ভারতে যে সকল টিকার অনুমোদন রয়েছে তার মধ্যে দেশীয় দুটি টিকা ছাড়াও অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি সহ জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকভ-ভি। ট্রায়ালের সফল হলে এবার এই সকল অনুমোদন পাওয়া টিকার তালিকাতে যুক্ত হতে পারে মুকেশ আম্বানির সংস্থার তৈরি টিকা।
জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স সংস্থার তৈরি দুটি ডোজের করোনা টিকার আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। করোনার এই টিকা নিয়ে রিলায়েন্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর নিরাপত্তাজনিত আরও বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখবে। প্রথম ট্রায়াল চলবে ৫৮ দিন, সেখানে সফলতা মিলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রায়ালের পথে হাঁটবে সংস্থা।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ভারতে প্রথম টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রথমদিকে সেইভাবে টিকাকরণে গতি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুনরায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে টিকা নেওয়ার হিড়িক লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ এই হিড়িক বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই টিকার খামতি নজরে আসে। তবে সাধারণ মানুষের টিকা নেওয়ার আগ্রহ থাকার পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চলতি বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষকে টিকাকরণ করানো হবে।
ভারতের মতো জনবহুল দেশে চলতি বছরের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য যে পরিমাণ টিকার প্রয়োজন রয়েছে তাতে প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল আরও একাধিক সংস্থাকে টিকাকরণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। অনুমান মতই কেন্দ্র ধীরে ধীরে একাধিক টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে অনুমোদন দিচ্ছে। আর এবার এই অনুমোদনের তালিকায় নাম উঠল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের।