করোনা যুদ্ধে ৫০০ কোটির সাথে হাসপাতাল আর খাবার নিয়ে হাজির আম্বানি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তেই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তিত্বের শিরোপা হারিয়ে ফেলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। কিন্তু শিরোপা হারিয়ে ভেঙে পড়েননি তিনি। দেশের বিপদের সময় দেশের পাশে দাঁড়াতে এতটুকু কুণ্ঠিত হলেন না। একগুচ্ছ সাহায্যের ডালি নিয়ে করোনা সংকটে দেশের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীদের মাথায় ভরসার হাত রাখলো রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। হাসপাতাল, আইসোলেশন ওয়ার্ড, ওষুধ, কোয়ারেন্টাইনের সুবিধা প্রদান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সমতালে যোগান বজায় রাখা, ব্রডব্যান্ড, টেলিকম সব পরিষেবা বজায় রাখার পাশাপাশি এবার এগিয়ে এলেন আর্থিক সাহায্য নিয়ে।

দেশকে মহামারীর কবল থেকে বাঁচাতে রিলায়েন্স পরিবার ৫০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান করল প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স ত্রাণ তহবিলে। এছাড়াও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সরকারের ত্রাণ তহবিলে আলাদা আলাদা করে ৫ কোটি টাকা করে মোট ১০ কোটি টাকা জমা করেছে। কিন্তু এখানেই কি শেষ? না, করোনা মোকাবিলায় দেশের পাশে দাঁড়িয়ে আরও একগুচ্ছ সাহায্য দিয়েছে এই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মাত্র ২ সপ্তাহে ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল স্থাপন করছে, যেখানে কেবলমাত্র করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা হবে। রিলায়েন্স পরিবার আগামী ১০ দিনে ৫০ লক্ষ মিল দুঃস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। কালক্রমে এই ৫০ লক্ষের সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা রোগীদের কথা মাথায় রেখে তারা প্রতিদিন এক লক্ষ মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়।

তারা আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংক্রামিত রোগীদের পাশে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও আশা কর্মীদের প্রতিদিন হাজারের বেশি পোশাক ও পিপিই পৌঁছে দেওয়ার। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে জ্বালানির বন্দোবস্ত করছে রিলায়েন্স পরিবার। যেমন রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

আর এসবের পর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি পরিস্থিতি যতই জটিল হোক, দেশবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “বিশ্বাস আছে ভারত করোনা যুদ্ধে জয়ী হবে। দেশের সবরকম সংকটে দেশের পাশে থাকবে রিলায়েন্স পরিবার। যুদ্ধ জয়ে দেশের অন্যতম শক্তি হবে এই রিলায়েন্স পরিবার।”