সংকটের মাঝেই স্বস্তি, রাজ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে করোনা পজিটিভের হার

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা সম্পর্কে একটি সন্তোষজনক তথ্য দিলেন রাজ্যবাসীকে। এই উদ্বেগ সংকটের মধ্যে যে খবর সত্যিই ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, স্বস্তি দেয়।

শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে করোনা পজিটিভ হওয়ার হার হ্রাস পেয়েছে। সাত দিন আগেও যেখানে পজেটিভ হওয়ার হার ছিল ৪.৬৯ %, সেখানে এখন করোনা পজিটিভ হওয়ার হার হয়েছে ৩.৩৩%। এই হার জাতীয় হারের তুলনায় কম।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস।রাজ্যের সংক্রমণ সংখ্যা এখন হয়েছে ২৫৭৬। করোনার অ্যাক্টিভ ১৪৫২। ২৪ ঘন্টায় মৃত ৭ জন। বাংলাতে কোভিডে সংক্রামিত হয়েছেন মৃত মোট ১৬০ জন। ৬৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনও পর্যন্ত ৮৯২ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও আগের থেকে অনেক খানি বেড়ে গিয়েছে।

নমুনা পরীক্ষার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ৮ মের তুলনায় দ্বিগুণ হারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। ৮ ই মে যেখানে ৩৫ হাজারের বেশি কিছু টেস্ট হয়েছিল সেখানে আজ টেস্টের সংখ্যায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ২৮৮। একদিকে রাজ্যে করোনা পজেটিভের সংখ্যাও কমছে, অন্যদিকে টেস্টের পরিমাণ বৃদ্ধি, পজেটিভের পরিমাণ কমা অর্থাৎ রাজ্য যে করোনা নিয়ন্ত্রণে একটি ইতিবাচক ভূমিকায় রয়েছেন একথা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পরিস্কার করে বলে দিতে চাইলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সরকার বলেছিল যে ভিন রাজ্য থেকে যারা আসবেন তারা সরাসরি সমাজের মূল স্রোতে মিশতে পারবেন না তাদের জন্য সর্তকতা অবলম্বন করছে রাজ্য।

এদিন সেই বিষয়টি উল্লেখ করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বলেন, ১৮ ই মে ১৬০ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের নামবে। সেই সকল শ্রমিক ও আটকে পড়া মানুষরা রাজ্যে ফেরার পরে মূল জনস্রোতে মিশতে পারবেন না। তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, এটি বাধ্যতামূলক। এই সকল মানুষরা যাতে বিমানবন্দর থেকে ফিরতে পারেন সেই কারণে উবের ওলার মতো নানান ক্যাব ও থাকবে বিমানবন্দরের বাইরে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে জানান রাজ্যের সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর অর্থ রাজ্য সরকার বহন করবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া মুকুব ও কোভিড সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দুটি ইতিবাচক দিক আজ রাজ্য সরকার জানালো। এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা যেমন কমবে তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার জন্য তৈরি হওয়া ভয়ও কিছুটা কমবে বলে আশা করা যায়।