চাকরি বা ভর্তিতে সংরক্ষণ কি মৌলিক অধিকার, কি বলছে শীর্ষ আদালত

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেধা থাকা সত্ত্বেও জেনারেল ক্যাটাগরির ছেলেরা অনেক জায়গায় সুযোগ পাননা! অপরদিকে অনেক কম নম্বর পেয়েও কেউ ডাক্তারির মতো জায়গায় সুযোগ পেয়ে যান। শুধুমাত্র সংরক্ষণ থাকার কারণে! এই চিত্রটা ভারতের সর্বত্রই ভীষণভাবে চোখে পড়ে, মেধা উপেক্ষিত হয় বরাবর। আর মেধা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সংরক্ষণের দাবি নিয়ে একজন সকল ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়ে যান। এই নিয়ে জেনারেল ক্যাটাগরির মেধাবী স্টুডেন্টদের ক্ষোভ বরাবরের!

Advertisements

Advertisements

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে, যা বলবৎ হলে দেশ ও সমাজের জন্য ইতিবাচক হবে। সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ঘোষণা করে, ‘সংরক্ষণ কোনো মৌলিক অধিকার নয়। তাই কোটার সুযোগ না পেলে মৌলিক অধিকার ভঙ্গ বলে কখনোই দাবি করা যায় না।’

Advertisements

তামিলনাড়ুর একটি মেডিক্যাল কলেজে মেধাবী তালিকার ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীরা সুযোগ পায়। OBC ক্যাটাগরির ছেলেরা তখন তাদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হচ্ছে বলে মামলা করে।
মামলাকারীদের দাবি ছিল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডেন্টাল কোর্সদের জন্য ৫০% কোটা রাখতেই হবে।

মেডিকেল কলেজগুলিতে ওবিসি’র জন্য ৫০% কোটার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। আর এরপরই বিরোধী নানান দল আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিলেন।

বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও কৃষ্ণ মুরারি ও এস রবীন্দ্রনাথের বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়ে দেন, “সংরক্ষণকে মৌলিক অধিকার বলে দাবী করার অধিকার কারোর নেই।” এদিন বিচারকরা মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “এখানে কার মৌলিক অধিকারের অবমাননা করা হয়েছে বলতে পারেন? মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলেই ৩২ নম্বর ধারা জারি করা যায়। কিন্তু সংরক্ষণ তো কোনোও মৌলিক অধিকারই নয়।”

তবে পিটিশন প্রত্যাহার করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই তাৎপর্যপূর্ণ রায় যদি গোটা দেশে বলবৎ হয় তাহলে শুধুমাত্র মেধার বিচারেই সব জায়গায় গণ্য হবে এবং এটাই আমাদের প্রত্যেকের কাম্য। সমাজের বেশকিছু বিশিষ্টজনেদের দাবি, “যারা দরিদ্র বা যারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাক, কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে, মেডিক্যালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে, প্রফেসরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্যরা সুযোগ পেলে এই সমাজের অগ্রগতি অসম্ভব।”

Advertisements