নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ি তৈরি হোক অথবা সাধের গাড়ি কেনা, দেশের বহু মানুষের এমন নানান স্বপ্ন থাকলেও অনেক সময় তারা অর্থের অভাবে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু আবার সেই স্বপ্নই পূরণ হয়ে যায় যখন ব্যাঙ্ক অথবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ (Loan) পাওয়া যায়। সেই দিনের টাকায় দেশের তাদের চাহিদা মত গাড়ি-বাড়ি তৈরি করে শখ পূরণ করে থাকেন।
ঋণের ক্ষেত্রে আবার এখন দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেছে টপ-আপ লোন (Top up loan)। টপ-আপ লোন হলো সেই লোন যা আগের লোনের উপর আবার লোন বাড়ানো। অনেক সময় দেখা যায়, যে বাজেট করে একজন গ্রাহক লোন নিচ্ছেন তার থেকেও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে কাজের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ওই ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেয়। এই বিষয়টিকেই বলা হয় টপ-আপ লোন।
তবে এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমন টপ-আপ লোনের উপর নজরদারি চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের লোনের নিয়মে (Top up loan rules) বদল আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রয়োজন না থাকলেও গ্রাহকরা অনেকেই এই ধরনের লোন নিয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা এই ধরনের লোন নিয়ে বেশি সুদের আশায় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে দিচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে টপ-আপ লোনের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন ? Loan Defaulters: বদলে গেল লোন শোধের নিয়ম, এবার ঋণ খেলাপীদের ৫ সুবিধা দিয়ে দিল RBI
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এধরনের ঝুঁকি আটকানোর জন্য এবার নানান ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর বাড়তি নজরদারি চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। দেখা হবে, ওই সকল প্রতিষ্ঠানগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে বাড়তি ঋণ বা টপ-আপ ঋণ দিচ্ছে কিনা। এছাড়াও ব্যাংক কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং তাদের সাবধান করে দেওয়া হবে। এছাড়াও জরিমানা চাপানোর বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে খুচরো ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের যোগ্যতা পরিমাপ করার জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে গণিত ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করার বিষয়ে ব্যাংকগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই ধরনের ঋণ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনো কথা ভাবছে না অথবা এই সম্পর্কে কোন নির্দেশিকাও জারি করছে না। তারা শুধু এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে দিন দিন যে ঝুঁকি বাড়ছে তার উপর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।