নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তৃণমূল নেতৃত্বের রদবদল করা হবে এমনটাই দিন কয়েক আগে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জি। এই রদবদলের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বোলপুরে বসে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক। আর সেখানেই কমকরে ৪০টি অঞ্চল সভাপতির বদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিতে জয় হাসিল করে তৃণমূল। একটি মাত্র বিধানসভা কেন্দ্র দুবরাজপুর বিজেপির দখলে যায়। তবে বীরভূমের ৬টি পৌরসভা এলাকার মধ্যে ৫টিতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে সামনের পৌরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে আরও সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই রদবদল বলে জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে।
রবিবার বোলপুরে আয়োজিত জেলা কমিটির বৈঠকে বিস্তর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বড়সড় রদবদল করা হয়েছে এমনটাই খবর। এছাড়াও জেলার প্রতিটি ব্লকে ব্লক সভাপতিদের পাশাপাশি একজন করে কার্যকরী ব্লক সভাপতি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ব্যবস্থাকে কার্যকর করার দিকেও দলীয়ভাবে আগানো হয়েছে এই জেলা কমিটির বৈঠকে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সাংসদ শতাব্দী রায় সহ বিধায়ক ও নেতাকর্মীরা।
যদিও রদবদল প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এখনই কিছু না বললেও সাংসদ শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, “দীর্ঘদিন ধরে এক জায়গায় নেতৃত্বে থেকে ফলাফল খারাপ করলে তার তো বদল হবেই। এটাতো পরীক্ষার মতো। বার বার ফেল করলে তো আর তাকে উঠানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে যে যে জায়গায় রদবদল হচ্ছে সেগুলো সঠিক। বিশেষ করে যে সকল জায়গায় ফলাফল দিতে পারেনি সেখানে রদবদল হচ্ছে।”