মাধব দাস: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভায় রদবদল হবে তা মূলত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। মন্ত্রিসভায় এমন রদবদলের টের পাওয়া গিয়েছিল মূলত রাজ্যের কয়েকজন বিধায়ক লোকসভা নির্বাচনে জয় যুক্ত হয়ে সংসদে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। অবশেষে বুধবার মমতার মন্ত্রিসভায় (Mamata Cabinet) বদল এলো। মমতার মন্ত্রিসভায় বদলের পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি দায়িত্ব পেয়ে কপাল খুলেছে বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে মানস ভুঁইঞার।
বুধবার মমতার মন্ত্রিসভায় যে বদল আনা হয়েছে সেই বদলের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্ব বেড়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বাবুল সুপ্রিয়, মানস ভুঁইঞার। অন্যদিকে দপ্তর পরিবর্তন হয়েছে মহম্মদ গোলাম রব্বানির। চলুন দেখে নেওয়া যাক এবার কোন কোন মন্ত্রীরা কোন কোন দপ্তরের বাড়তি দায়িত্ব সামলাবেন।
রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অর্থ দপ্তরের স্বাধীন মন্ত্রী। তিনি রাজ্যের অর্থ দপ্তর সামলানোর পাশাপাশি সামলাতেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর এবার থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ওই সকল দপ্তরের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দায়িত্ব সামলাবেন পরিবেশ দপ্তরেরও।
এতদিন পর্যন্ত পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব সামলাতেন মহম্মদ গোলাম রব্বানি। তাকে পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনা হলো অচিরাচরিত শক্তি দপ্তরে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি এবার ব্যারাকপুরের অন্যতম দাপুটে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে পরাজিত করে সাংসদ হয়েছেন। বিধানসভা থেকে সংসদে পা রাখার কারণে তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। তার ছেড়ে যাওয়া সেই দপ্তরের মন্ত্রিত্ব এবার দেওয়া হল মানস ভুঁইঞাকে। মানস ভুঁইঞা সেচ দপ্তরের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সামলাবেন জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বও।
অন্যদিকে বিজেপি থেকে আসা বাবুল সুপ্রিয় এবার তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রীর পাশাপাশি দায়িত্ব সামলাবেন শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের। বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান মত বিরোধ তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি আগে তার দায়িত্ব নিয়ে কাটছাঁট করা হয়েছিল। অবশেষে সেই বাবুল সুপ্রিয়র উপরই বাড়তি ভরসা রাখল রাজ্য সরকার। তাকে এবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল।