Residents of this village do not bathe even in this extreme heat: ২০২৪ এর মার্চ মাসের শুরু থেকেই গরমের দাপট শুরু হয়ে গেছে। মার্চ, এপ্রিল, মে এই ৩ মাস গরমের দাপটে নাজেহাল গোটা রাজ্যবাসী। মে মাসে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টি হলেও এখনো পর্যন্ত কমেনি তাপমাত্রার পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে দিনে একাধিকবার স্নান করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই গরমে যতটা সময় জলে থাকা যায়, ততই যেন ভালো। কিন্তু এই গরমেও যদি স্নান (Bathe) না করে কাটাতে হয়? ভেবেই অস্বস্তি বোধ করছেন তাই তো? কিন্তু বাস্তবে দিনের পর দিন স্নান না করেই কাটিয়ে দিচ্ছে গোটা একটি গ্রাম।
এই গরমে আমরা যেখানে বারংবার স্নান করছি নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য, সেখানে এক গ্রামের গ্রামবাসীরা দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন স্নান (Bathe) না করেই। না, কোন আধ্যাত্মিক কারণে নয়; সেখানকার আবহাওয়া যে তুলনামূলক ঠান্ডা তাও কিন্তু নয়। গ্রামবাসীরা স্নান না করেই দিন কাটাচ্ছেন নিজেদের ইচ্ছায় নয়, কিছুটা বাধ্য হয়ে। বলতে পারেন তারা একপ্রকার বঞ্চিত স্নান করার অধিকার থেকে। তীব্র গরমে শরীরে প্রচন্ড অস্বস্তি হলেও, স্নান করার কোন উপায় নেই তাদের কাছে।
ঘটনাটি ঘটে চলেছে ডুয়ার্সের রাধারানী গ্রামের গ্রামবাসীদের সাথে। ২০২৪ এর রেকর্ড করা গরমেও তাদেরকে দিনের পর দিন স্নান (Bathe) না করে কাটাতে হচ্ছে জলের অভাবে। ডুয়ার্সের রাধারানী চা বাগানের বাসিন্দারা বহু দিন ধরে জল কষ্টে ভুগছেন। পিএইচই – এর তরফ থেকে এই চা বাগানে বড় একটি জলের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। চা বাগান সংলগ্ন প্রত্যেকটি বাড়িতে জলের পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল সংস্থা। কিন্তু ওইটুকুই শেষ। গ্রামবাসীদের মতে, প্রথম ৩ দিন জল সরবরাহ হয়েছিল সঠিকভাবে। কিন্তু তারপর থেকে আর জল আসেনি ওই পাইপ লাইনে।
আরও পড়ুন ? Flat Buying Rules: ফ্ল্যাট কেনার সময় এই ক’টি ভুল করলেই সব শেষ! জলে যাবে টাকা, ছুটে আসবে অশান্তি
সরাসরি পিএইচই – এর দপ্তরে জল সংকট সম্পর্কে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কোনো সমাধান তো দূরের কথা, পিএইচই – এর দপ্তরের কর্মীরা একবারের জন্য পর্যবেক্ষণেও আসেননি এই এলাকায়। এমনটাই দাবি করছে এলাকাবাসী। দিন দিন বেড়েই চলেছে জল সংকটের পরিমাণ। বর্তমানে রাধারানী চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় জল সংকট একটি বড় সমস্যার আকার ধারণ করেছে। যে এলাকায় পানীয় জল জোগাড় করা মুশকিল, সেখানে স্নান করা বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর কাছে।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, পানীয় জল জোগাড় করার জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় কয়েক কিলোমিটার দূরের পথ। বেশ কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে নদী থেকে জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। এত দূরের পথ প্রতিদিন পায়ে হেঁটে যাওয়া আসা করাও সম্ভব নয়। তাই ১ সপ্তাহের জল একবারেই নদী থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন তারা। সারা সপ্তাহ সেই জল পান করার পর, যেটুকু অবশিষ্ট থাকে সেটুকু দিয়ে কোন মতে স্নান করেন। আর বাকি দিনগুলি স্নান (Bathe) না করেই কাটাতে হয় তাদের। কিন্তু প্রতিদিন নিয়মিত স্নান করতে না পারায় প্রচন্ড অস্বস্তির মধ্যে কাটছে তাদের দিন। এই গরমে পর্যাপ্ত স্নানের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন একের পর এক গ্রামবাসী।