নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত্রি ৮ টার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi ) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার সময় হঠাৎ পুরাতন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল (Demonetisation) করার ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় তোড়জোড়। পুরাতন নোট বদলে নতুন নোট নিতে ব্যাঙ্কের শাখায় শাখায় পরে দীর্ঘ লাইন।
দেখতে দেখতে এই দিনটি পাঁচ বছর পার করলো। এই পাঁচ বছরে বহু জল গড়িয়েছে। এই পাঁচ বছরে নতুন ২০০০ টাকা, নতুন ৫০০ টাকা, ২০০ টাকা সহ বিভিন্ন ধরনের নতুন নোট সামনে এসেছে। তবে এসবের পরেই একটি প্রশ্ন জাগে আমজনতাদের মধ্যে, যা হলো নোট বাতিলের এই পাঁচ বছরে কী পেলেন ভারতীয়রা?
১) এই কয়েকটি বছরে এখনো পর্যন্ত যারা সম্পত্তি কিনেছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষই নগদে সম্পত্তি কিনছেন।
২) এখনো পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা, বাইরে খাবার খাওয়া, খাবার ডেলিভারি নেওয়ার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ ক্রেতাই নগদের উপর নির্ভরশীল।
৩) তবে প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে দুজনের নগদ লেনদেন হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশ।
৪) শেষ এক বছরে আবার ২০ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেন কমিয়েছেন।
৫) এই পাঁচ বছরে দেশের নাগরিকদের মজুত অর্থের পরিমাণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১০.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮.৩০ লক্ষ কোটি টাকা।
৬) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী দেশের নাগরিকদের কাছে নগত মজুদের পরিমাণ কমেছে ২১১ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই নগদের পরিমাণ ছিল ৯.১১ লক্ষ কোটি টাকা, যা শেষ এক বছরে এই পরিমাণ কেবলমাত্র ৮.৫ শতাংশ বা ২.২১ লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭) শেষ এক বছরে নগদ লেনদেন কমেছে ২০ শতাংশ মানুষ।
৮) সমীক্ষায় লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক বছরে রশিদ ছাড়া জিনিসপত্র কেনা ২০ শতাংশ মানুষ।
রাতারাতি নোট বাতিল কেন্দ্র সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল নাকি তা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল তা নিয়ে এখনও তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। একপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন এবং অন্যপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।