নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের ক্ষেত্রে যেমন দেশে রেল পরিষেবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, ঠিক একই রকম ভাবে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে সড়ক পরিষেবার ক্ষেত্রে চলাচল করা যানবাহনও। অন্যদিকে তুলনামূলক কম গুরুত্ব থাকলেও ফেরি পরিষেবার (Ferry Service) গুরুত্ব কিন্তু একেবারেই কম নয়। বিশেষ করে যে সকল এলাকা নদনদীর ধারে অবস্থিত সেই সকল এলাকায় ফেরি পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে ফেরি পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা নদীমাতৃক এই রাজ্যের বহু গুরুত্বপূর্ণ জেলা বিভিন্ন নদনদীর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন। আর এই সকল বিচ্ছিন্নতা ফেরি পরিষেবার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হয়ে থাকে। এই সকল নদনদীর পার্শ্ববর্তী জেলা বা এলাকার বাসিন্দারা বহু ক্ষেত্রেই ফেরি পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল থাকেন।
সড়ক পরিষেবা হোক অথবা রেল পরিষেবা, এই ধরনের পরিষেবাকে আবার রীতিমতো টেক্কা দিয়ে থাকে ফেরি পরিষেবা। কেননা ট্রেন অথবা বাস সহ অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যে সময় লাগে, ফেরি পরিষেবায় সময় অনেকটাই কম লাগে। একদিকে যেমন জলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানজটের সমস্যা নেই, ঠিক সেই রকমই আবার দূরত্বও অনেকটা কমে যায়। যে কারণেই ফেরি পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গত ২৯ মে থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের ফেরি পরিষেবা বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কুকড়াহাটি পর্যন্ত একমাত্র ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৯ মে থেকে এই পরিষেবা বন্ধ রাখার পাঁচ দিন পর ফের এই পরিষেবা চালু করা হলো। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ডায়মন্ড হারবার জেটির গ্যাংওয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ডায়মন্ড হারবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এই একমাত্র ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে কুকড়াহাটি থেকে রায়চক নদী পথ ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসছিলেন এবং উল্টোদিকের সুতাহাটা ও হলদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বাধ্য হচ্ছিলেন। তবে শেষমেষ মঙ্গলবার থেকে আগের পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে স্বস্তি পেলেন যাত্রীরা।