বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা নাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। দেখতে দেখতে এই ঘটনা এখন সুপ্রিম কোর্টের দোড়গড়ায় পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ মোতায়েন করার নির্দেশ দিল।
আরজি করের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি-ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি এই ঘটনাকে মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যাবে না বলে দাবি করেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের সুরক্ষা এবং নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে এদিন প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে এফআইআর-এর দেরির ঘটনা।
প্রশ্ন উত্তরে আইনজীবী কপিল সিবল আদালতকে জানান, দেহ হস্তান্তর করা হয় রাত সাড়ে আটটায়। অন্যদিকে প্রথম এফআইআর হয় রাত ১১ঃ৪৫ মিনিটে। প্রথম এফআইআর পড়েন মৃত ওই তরুণী চিকিৎসকের বাবা। এখানেই আদালত প্রশ্ন করেন, এফআইআর হতে কেন এত সময় লাগলো? এই সকল প্রশ্ন উত্তরের পর এবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং হোস্টেলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সিআইএসএফ বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন : Sandip Ghosh: পড়াশুনায় কেমন ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? কেমন ছিল তাঁর চরিত্র
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর অনেক নার্স এবং চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে হোস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উল্লেখ করা হয়। শুনানিতে এমন উল্লেখের পরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন ওই হাসপাতাল ও হোস্টেলের নিরাপত্তাই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ থাকবে।
অন্যদিকে আরজি করে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ওই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ইতিমধ্যেই চারবার তলব করেছে সিবিআই। সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত হাতে পেয়েই নিজেদের মতো তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেছে। এই মামলা রুজু হয় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই। অন্যদিকে আরজি করের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বর্তমানে এই আন্দোলন কেবলমাত্র চিকিৎসক অথবা সীমিত কিছু মানুষের মধ্যে নেই। এই আন্দোলন কলেজ থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।