Riverfront Complex in Howrah: বদলে যাবে হাওড়ার ধারের গঙ্গার পাড়! আমূল পরিবর্তন আনতে নতুন উদ্যোগ

Prosun Kanti Das

Published on:

A state-of-the-art complex is being prepared to change bank of Ganges in Howrah: কলকাতা হাওড়ার অবয়ব আগের তুলনায় বহু গুন বদলে গেলেও, গঙ্গার পাড়গুলো পড়ে রয়েছে সেই মান্ধাতার আমলেই। তাই কেমন হবে যদি গঙ্গার পাড়ের ভোল আমুল বদলে যায়? গঙ্গাধারে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠতে চলেছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Riverfront Complex in Howrah), যা তৈরির ব্যাপারে ই-টেন্ডার তথা ই অকশনের আয়োজন করেছে কলকাতা পোর্ট। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কলকাতার মুকুটে এবার নয়া পালক যুক্ত হতে চলেছে। কলকাতার হাওড়া স্টেশনের কাছে গঙ্গার ধারে একটি অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে “Riverfront Complex”। এই কমপ্লেক্সটি আর্মেনিয়ান ঘাট ও স্ট্র্যান্ড রোডের কাছাকাছি এলাকায় তৈরি হবে।

এই কমপ্লেক্সটিতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য হল,বুটিক হোটেল, শপিং মল, অফিস স্পেস, ব্যাঙ্কোয়েট হল বা অডিটোরিয়াম, স্পোর্টস ক্লাব, মাল্টিলেভেল কার পার্কিং। এই কমপ্লেক্সটি (Riverfront Complex in Howrah) তৈরি হলে হাওড়ার অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে। এটি কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠবে এবং পর্যটন শিল্পকেও প্রসারিত করবে।

এই প্রকল্পটি (Riverfront Complex in Howrah) কলকাতার জন্য বেশ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আপামর জনগণের মনোরঞ্জনের জন্যই আর্মেনিয়ান ঘাটকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেটাও দেখা হবে। এছাড়া আর্মেনিয়ান ঘাটকে কেন্দ্র করে হেরিটেজ পর্যটনকে এক নতুন পথের আলো দেখাবে। এখান থেকে গঙ্গায় ফেরি সার্ভিসের বিকল্প ব্যবস্থা করা হতে পারে।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কমপ্লেক্সটি (Riverfront Complex in Howrah) তৈরি হলে হাওড়ার অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে। এটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। এই কমপ্লেক্সটি কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠবে। এটি পর্যটন শিল্পকে প্রসারিত করবে এবং হাওড়াকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করবে। এই প্রকল্পটি শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এটি গঙ্গার ধারের দৃশ্যকে আরও মনোরম করে তুলবে।

এই নতুন কমপ্লেক্স এর মধ্য দিয়ে নতুন এবং পুরনোর মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়। একদিকে থাকবে ঝাঁ চকচকে অত্যাধুনিক কলকাতা এবং অন্যদিকে দেখা যাবে সেই প্রাচীন কলকাতাকে, যা আজও আবিষ্ট হয়ে আছে পুরনোর গন্ধে।