লাল্টু : ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো একটি যাত্রীবাহী অটো এবং একটি পিকআপ ভ্যানের। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত অবস্থায় চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে সিউড়ির ছাপতলা থেকে একটি যাত্রীবাহী অটোতে মত ৬ জন যাত্রী দুবরাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই সদাইপুর থানার অন্তর্গত বাঁধেরশোল মোড়ের কাছে একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। যে ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নুরুন্নেসা বিবি নামে এক মহিলা। আহতদের দ্রুত সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও এক মহিলা প্রাণ হারান। হাসপাতালে মৃত মহিলার নাম নাসিবা বিবি (২৪)। সদাইপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি দুটি গাড়িকে আটক করেছে।
অন্যদিকে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বীরভূমের দুই এলাকায় দুই যুবক নিখোঁজ হওয়ার খবর এসেছে। একজন ব্রহ্মানী নদীতে এবং অন্যজন লাভপুরের বক্রেশ্বর নদীতে তলিয়ে গেছেন। এই দুজনের তল্লাশিতে প্রশাসনের তরফ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। দুজনের খোঁজ চালানো হচ্ছে স্পিড বোটের মাধ্যমে।
ব্রাহ্মণী নদীতে নিখোঁজ হওয়া যুবকের নাম অজিত লেট। তাঁর বয়স ২৬ বছর। তিনি নলহাটি থানার সোনার কুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রী ওই যুবক গত কাল সন্ধ্যার দিকে রামপুরহাট থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে ঢোকার মুখে সাইকেল নিয়ে সোনার কুন্ডু ঘাট পার হতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে যান। খোজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তার সাইকেলটি নদী ধার থেকে পাওয়া যায়।
লাভপুরের বক্রেশ্বর নদীতে তলিয়ে যাওয়া যুবকের নাম খেরাপ মাড্ডি (৩০)। তিনি গতকাল লাভপুর থানার অন্তর্গত সুবলপুর গ্রামে নদীর জলে তলিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বৈকাল চারটে নাগাদ ওই ব্যক্তি সুবলপুর সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে পা পিছলে পরে যায় এবং নদীর জলে তলিয়ে যান। তারপর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন নদীর জলে খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ না পেয়ে খবর দেয় লাভপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লাভপুর থানার পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত ওই দুজনের খোঁজ না মেলায় প্রশাসনিকভাবে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের।