লাল্টু : বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের কামারশাল মোড় থেকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের তরফ থেকে বারংবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও সেভাবে কোনো রকম কাজ হয়নি। মাঝে মাঝেই নামকে বাস্তা রাস্তা মেরামতি করে দেওয়া হয়। নামকে বাস্তা এই মেরামতির কারণে স্বাভাবিকভাবেই দিন কয়েক যেতে না যেতেই তা আবার আগের চেহারা নেয়।
সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ গত শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওই দিন রাস্তা মেরামতের সময় পিচের রাস্তা মেরামত করা হচ্ছিল ইঁট এবং মোরাম দিয়ে। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও চটে যান। পরবর্তীতে আরও অসুবিধার আশঙ্কা করে তারা বিক্ষোভে সামিল হন এবং রাস্তা সারাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন।
কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সাথে সাথে যে সমস্ত ইঁট, ইঁটের টুকরো এবং মোরাম ফেলা হয়েছিল সেগুলি কেউ তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেন রাস্তা মেরামতের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, একেবারে নতুনভাবে এই রাস্তা না তৈরি করা হলে কোনো সুরাহা হবে না, আর সেই মতো কাজ না হলে কাজ করতে দেওয়াও হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভ এবং সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই টনক নড়লো প্রশাসনের। রবিবার সকাল বেলা ওই রাজ্য সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পি.ডাবলু.ডি.-র কর্তারা দীর্ঘ এই রাস্তাটি ঘুরে দেখেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যেভাবে রাস্তা মেরামতি চেয়েছিলেন ঠিক সেইভাবেই কাজ শুরু হয়। আর এই কাজ শুরু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার স্থানীয়রা।
ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী অনল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রবিবার সকাল থেকে নতুন করে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আমরা যেভাবে রাস্তা মেরামতির কাজ চেয়েছিলাম অর্থাৎ পুরো ভাঙ্গা রাস্তা তুলে নতুনভাবে রাস্তা নির্মাণ করা সেই ভাবেই কাজ শুরু হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমরা খুশি পাশাপাশি সর্বতোভাবে সংবাদমাধ্যম আমাদের পাশে থাকার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।”