স্বাস্থ্যসাথীর নিয়মে বড় বদল আনল রাজ্য! না জানলে পড়তে হতে পারেন সমস্যায়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল সরকারি প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য করে দেন। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বাসিন্দারা চিকিৎসা খাতে ৫ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন।

Advertisements

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে যতটাই না জনপ্রিয়, তার থেকে এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষেরই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আগে কোন স্বাস্থ্য বীমা ছিল না। এখনকার দিনে স্বাস্থ্য বীমা না থাকা খুবই অসুবিধাই ঠেলে দিতে পারে যে কোন পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সাধারণ মানুষদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবায় আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisements

তবে এবার এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বদল আনা হলো। যদিও এই নিয়ম সরাসরি উপভোক্তাদের জন্য নয়, তবে নিয়মে কোন পরিবর্তন আনা হলে তা উপভোক্তা থেকে শুরু করে পরিষেবা সরবরাহকারী সবার জেনে রাখা দরকার। নিয়মে পরিবর্তন জানা না থাকলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে যে কোন পক্ষকেই। সেই কারণেই চলুন দেখি নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নিয়মে কি পরিবর্তন আনা হয়েছে।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেই পরিবর্তন মূলত ডাক্তারদের জন্য। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকাই জানানো হয়েছে, এবার থেকে যে সকল চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন তাদের নাম রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে নথিভুক্ত থাকতে হবে। এই নিয়ম জারি করা হয়েছে সেই সকল চিকিৎসকদের জন্য যাদের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে অন্য রাজ্যে।

নির্দেশিকাই বলা হয়েছে, যে সকল চিকিৎসকরা অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা করছেন তাদের রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করে নিতে হবে। যাদের নাম নথিভূক্ত নেই তারা চিকিৎসা শুরু থেকে ৬ মাস সময় পাবেন। এমন নিয়ম জারি করার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হলো, বহু ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা কেবলমাত্র রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ছেড়ে দেন। এর ফলে যখন ওই চিকিৎসকের সন্ধান চালানো হয় তখন দেখা যায় একই নম্বরে দুজন চিকিৎসক উঠে আসছেন। এই সমস্যা দূর করতেই এবার রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক করা হলো। নতুন নিয়ম জারি করার পর সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisements