নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার পর অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)। যে রামলালার মন্দির নির্মাণের জন্য কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি মন্দির তৈরি করেছে রাম কর্তৃপক্ষ। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ভক্তদের অনুদানে আজ রাম মন্দির বাস্তব রূপ পেয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই রামলালার দর্শনের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাতারে কাতারে ভক্তদের আগমন ঘটছে। এই বিপুলসংখ্যক ভক্তদের নিরাপত্তা-সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মন্দির কমিটির তরফ থেকে সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই এবার রাম মন্দিরে প্রবেশের নিয়মে বদল আনা হলো। যে বদল আনা হয়েছে সেই বদলের পরিপ্রেক্ষিতে আর এত সহজে রামলালার দর্শন করা যাবে না।
নতুন নিয়ম অনুসারে এবার রামলালার দর্শন করতে ভক্তদের অন্ততপক্ষে তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মন্দির কর্তৃপক্ষ এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এমন নয় যে নতুন নিয়মে রাম মন্দির দর্শনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে রাম মন্দির দর্শনের জন্য ভক্তদের তিনটি পরীক্ষায় পাশ হতে হলেও তা হবে অনেক স্বচ্ছ।
মূলত পাশ নিয়ে জালিয়াতি, কয়েকটি চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে যে নিয়ম ছিল সেই নিয়ম অনুযায়ী যে সকল ভক্তদের কাছে পাশ থাকতো তারা অনায়াসেই রামলালার মূল মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পেতেন এবং রামলালার দর্শন করতে পারতেন। কিন্তু পাশ জালিয়াতি করে বহু ভক্তদের কাছে সেই পাশ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মন্দির দর্শনে স্বচ্ছতার অভাব তৈরি হচ্ছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নতুন ব্যবস্থা।
নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী যে সকল ভক্তদের কাছে পাশ থাকবে তাদের প্রথমে প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে পাশ দেখাতে হবে এবং স্বাক্ষর করিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনরায় পাশ দেখার পাশাপাশি আইডি প্রুফ দেখাতে হবে এবং সেই আইডি প্রুফ খতিয়ে দেখার পর স্বাক্ষর করিয়ে পরের পর্যায়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হবে অন্য কারো পাশ নিয়ে অন্য কোন ব্যক্তি এসেছেন কিনা। এরপর আবার তৃতীয়বারের জন্য পাশ দেখানোর পরই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। এই তিনটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার ফলে মন্দিরে প্রবেশে স্বচ্ছতা বেড়ে যাবে।