নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য বীমার কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme)। প্রথম দিকে এই প্রকল্প সীমিত কিছু মানুষের জন্য উপলব্ধ থাকলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এই প্রকল্প সার্বজনীন করে দেন।
এই প্রকল্পের হাত দিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই সকল মানুষেরা বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে বিনামূল্যে পরিষেবা পেয়েছেন। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নিয়মে বদল আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নতুন যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা এবার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে না। হাড়ের অস্ত্রোপচার করাতে হলে তা করতে হবে সরকারি হাসপাতালে। অর্থাৎ এই নির্দেশিকা জারি করার ফলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার সুবিধা কমে যাচ্ছে প্রকল্পের আওতায় থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের।
যদিও এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নির্দেশিকা সেই সকল রোগীদের জন্য কার্যকরী নয় যারা পথদুর্ঘটনায় আহত। অর্থাৎ পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে যদি কোন রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান তাহলে তার অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমেই হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আবার এই নিয়মের ক্ষেত্রেও ছাড় মিলতে পারে যদি কোন সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকে তাহলে। সেক্ষেত্রে ওই রোগীকে অন্য কোন বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হবে এবং রেফার করার পর রেফারেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করেই অস্ত্রোপচার করা যাবে।