নিজস্ব প্রতিবেদন : শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, বহু মানুষের কাছেই ওয়ো রুম (OYO Room) হলো অন্যতম ভরসার একটি জায়গা। ২০১২ সাল থেকেই এই সকল রুম দেশের মানুষদের অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষেরা যেমন সহজেই ওয়ো রুম বুক করে রাত্রিবেলায় মাথার ছাদ পেয়ে যান, ঠিক সেই রকমই আবার প্রেমিক যুগলেরও অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে এই সকল রুম।
তবে সাধারণ মানুষেরা এই সকল রুম ভাড়া করে বাইরে এসে থাকার চিন্তা থেকে দূর হলেও যুগলরা এমন সব কাজকর্ম করছেন যার রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করছে। ইদানিংকালে যুগলদের কিছু অংশ নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে মেশামেশি সেই সকল মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছেন এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া সহ ব্ল্যাকমেল ইত্যাদির মত কাজকর্ম করে চলেছেন। এই সকল অধিকাংশ ঘটনায় নাকি ঘটছে ওয়ো রুমগুলিতে।
এমন পরিস্থিতিতে এবার নড়েচড়ে বসলো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এই ধরনের ঘটনা আর কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওয়ো রুমগুলিতে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর এই বার্তা এবং পদক্ষেপের ঘুম উড়েছে সেই সব ওয়ো অতিথিদের যারা এই ধরনের কার্যকলাপ করতে মত্ত।
আরও পড়ুন ? OYO Train: বিশ্বের অবাক করা ট্রেন, যাতে চড়েই চুমু খান যুগলরা
সূত্র জানা যাচ্ছে, খাস কলকাতাতে ওয়ো ব্রান্ডের অপব্যবহার চলছে। চলছে হিউম্যান ট্র্যাফিকিং। এইসব পরিস্থিতির উপর লাগাম টানার জন্য এবার কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছে ওয়ো ব্র্যান্ড। এক্ষেত্রে যেমন ওয়ো রুমে আগত অতিথিদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংস্থা, ঠিক সেই রকমই এবার তারা কোনো রকম অবৈধ বা অনৈতিক কাজকর্ম হলেই পুলিশকে খবর দিয়ে দেবে। কেননা এবার এই ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ৩০টির বেশি ওয়ো অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে একটি সেমিনার করা হয়। যেখানে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। হোটেলে আসা প্রত্যেক ব্যক্তির রেকর্ড সঠিকভাবে রাখতে হবে। হোটেলে এবং আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার রুটিন অনুযায়ী সংরক্ষণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছেন ওয়োর চিফ অপারেটিং অফিসার বরুন জৈন বলেও জানা যাচ্ছে।