গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার আন্দুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১৪ দিন ধরে তাকে নিয়ে চলছে যমে মানুষে টানাটানি। এই অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর করা একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংকটের দানা বাঁধছে। সব্যসাচী ওই পোস্টে সকলকে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন।
তিনি লিখেছেন “কোনওদিনও এটা এখানে লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। প্রে ফর মিরাক্যল। প্রে ফর সুপারন্যাচারাল। শি ইজ ফাইটিং অ্যাগেনস্ট অল অডস, বিয়ন্ড হিউম্যান (চমৎকারের জন্য প্রার্থনা করুন। অতি আশ্চর্যের জন্য প্রার্থনা করুন ও সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করছে…)।”
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবারও নতুন করে হালকা জ্বর এসেছে ঐন্দ্রিলার। নতুন কিছু অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়েছে তার উপর। এখন দেখার অপেক্ষা যে, নতুন এন্টিবায়োটিক গুলো কিভাবে কাজ করে। তবে এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনেই আছেন ঐন্দ্রিলা। একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন তিনি। সেই রকম ভাবে কিছু শারীরিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি তার।
অন্যদিকে অত্যন্ত দৃঢ় চিত্তের মানুষ সব্যসাচীর এহেন ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে অভিনেত্রীর অনুরাগীদের মনে। তিনি তার পোস্টে যে সুপারন্যাচারাল কিংবা মিরাকেল অথবা চমৎকারের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন সকলকে, এই শব্দগুলির জন্যই যত বিপত্তি। তাহলে কি সত্যিই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক? তাহলে কি খুবই সংকটজনক অবস্থার মধ্যে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা? হাজারও প্রশ্ন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়।
ঐন্দ্রিলার সুস্থতা কামনা করে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বক্তব্য রাখছেন। বছর চব্বিশের ঐন্দ্রিলা এর আগেও দুই দুইবার কর্কট রোগের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। ফিরে গিয়েছিলেন নিজের কাজের জায়গায়। কিন্তু এমন অবস্থায় হঠাৎই ঘটে এই বিপত্তি। গত ১ নভেম্বর নিজ বাসভবনে দুপুরবেলা মায়ের সঙ্গে শুয়ে থাকা অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাওড়ার আন্দুলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম থেকেই ঐন্দ্রিলাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শরীরের একটা দিক প্যারালাইজড হয়ে রয়েছে।
তবে তারপর শোনা গিয়েছিল চিকিৎসায় অল্প অল্প সাড়া দিচ্ছেন অভিনেত্রী। জ্বর সেরে গিয়েছিল তার। ঐন্দ্রিলা তার হাত পাও নাড়ছিলেন একটু একটু। চোখ খুলে তাকিয়েও ছিলেন। কিন্তু তারপরেই ঘটে এই নতুন বিপত্তি। শোনা গেছে হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়লে আবারো তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আপাতত গোটা টলিউড থেকে শুরু করে অনুরাগী, ভক্তগন তার আরোগ্য কামনায় ব্যস্ত।