নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে। আর এই লড়াইয়ে নেমে বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিম রামপুরহাটে এসে বিজেপি এবং তৃণমূল এই দুই দলকেই একহাত নিলেন। দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘মোদি এবং দিদি আদবানির পাঠশালায় পড়েছেন, সিলেবাস এক’।
মহঃ সেলিম এদিন এই কটাক্ষ করেন মূলত তৃণমূলের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। তৃণমূলের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়, বিএসএফ নাকি বিজেপির হয়ে ভোট করছে। এই অভিযোগের উত্তরে মহঃ সেলিম বলেন, “সিভিক ভলেন্টিয়ার, রাজ্য পুলিশ, সিআইডি, সিবিআই, ইডি! বিজেপি তৃণমূলে কোন তফাৎ নেই। বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, ইলেকশন কমিশন, রাজ্যের স্টেট ইলেকশন কমিশন তৃণমূল যা যা করেছে বিজেপি তার থেকে একটুও আলাদা না। এরা ছোট স্কেলে করেছে, ওরা বড় স্কেলে করছে। এ সিআইডি-কে নিয়ে চোরকে ধরার বদলে চোরকে পাহারা দিয়েছে। ও সিবিআই-কে নিয়ে তাই করছে। পরিষ্কার কথা।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এর জন্য নীতি আলাদা লাগে। নীতি তো দুজনেরই এক। শুভেন্দু তৃণমূলে থেকে যা কারবার করেছে, বিজেপিতে গিয়েও সেই কারবার করবে। দরকার হলে স্কেলটা বাড়বে বা কমবে। কিন্তু অন্য গান তো গাইবে না। তৃণমূল কর্পোরেশন স্টেট ইলেকশন কমিশনকে যেভাবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ব্যবহার করেছে, রাজ্য প্রশাসনকে যেভাবে ব্যবহার করেছে, রাজ্য পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করেছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে যেভাবে ব্যবহার করেছে, বিজেপিও সেই একই কায়দায় একইভাবে ব্যবহার করে। মোদি এবং দিদি দুজনেই আদবানির পাঠশালায় পড়েছেন। দুজনের সিলেবাস এক।”
অন্যদিকে এই বাম নেতা এদিন বারংবার রাজনৈতিক নীতির প্রতি জোর সওয়াল করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস জোট পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসবে।