ভারত থেকে পাকিস্তান সর্বত্রই চর্চা হচ্ছে সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে। এরই মধ্যে এক কাণ্ড করে বসলেন তারা। গত সপ্তাহ থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পরে গেছে এই খবরের জন্য। খবরটি হলো সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক নাকি আলাদা হতে চলেছেন। বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে তাদের, কিন্তু তারা দুজনে এই বিষয়ে সর্বদাই রয়েছেন মুখে কুলুপ এঁটে।
যদিও বিষয়টি দুজনের কেউ কখনো স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। এরই মাঝে একটি খবরের শিরোনামে এলেন তারা। পাকিস্তানের প্রথম ওটিটি প্ল্যাটফর্ম উর্দু ফ্লিক্স তাদের ইনস্টাগ্রামে হঠাৎ একটি পোস্ট করে বসে। যেটি দেখে দুই দেশের জনগণের চক্ষু হলো ছানাবড়া। তারা জানিয়েছেন শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জাকে এবার দেখা যাবে মির্জা-মালিক নামের একটি রিয়ালিটি শো-এর পরিচালনা করতে।
এই অনুষ্ঠানের একটি পোস্টারে দেখা যায় একাধিক ক্রীড়া তারকার উপস্থিতি। আরেকটি পোস্টারে দেখা যায় পিছনে বুর্জ খলিফা, আর সামনে শোয়েবের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন সানিয়া। তবে কোন বিষয়ের উপর হবে এই অনুষ্ঠান তা এখনো জানা যায়নি। খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠান সম্পর্কিত বাকি তথ্য জানা যাবে আশা করছেন দর্শকরা।
তবে যখন দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নানান রসায়ন সামনে আসছে সেই সময় এটাও জানা দরকার যে শোয়েব মালিককে বিয়ে করার আগে ২০০৯ সালে সানিয়া মির্জা তাঁর ছোটবেলার বন্ধু শোহরাব মির্জার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেন। সোহরাব মির্জা হলেন একজন বেকারি ব্যবসায়ী। সানিয়া এবং সোহরাবের দুই পরিবারই একে অপরের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। সম্পর্কও ছিল ভাল। তবে সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি।
দুজনের এনগেজমেন্ট হলেও তা কয়েকদিন পরেই ভেঙে যায়। শোনা যায়, শোহরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে নাকি দাবি করা হয়েছিল যে সানিয়াকে বিয়ের পর টেনিস খেলা ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু, সানিয়ার পরিবার সেকথা মানতে চান নি। এই সকল ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সানিয়ার জীবনে এন্ট্রি হয় শোয়েব মালিকের। তারপর তারা দুজনে ২০১০ সালে বিয়েও করে ফেলেন।
অন্যদিকে আবার সানিয়া মির্জার সঙ্গে একসময় বলিউড অভিনেতা শাহিদ কাপুরের সম্পর্কের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। তবে সেই গুঞ্জন কিছুদিনের মধ্যেই হাওয়া হয়ে যায়। এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি সানিয়া মির্জা স্বীকার করেন করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে।