এবার কি বিশ্বভারতীতে হবে বসন্তোৎসব! কি জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বসন্ত উৎসব মানেই বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসব। দোলের দিন বিশ্বভারতীর এই বসন্তোৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অজস্র মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এই ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব বন্ধ। এই বছর সংক্রমণ কম থাকায় অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, তাহলে কি এই বছর বিশ্বভারতীতে আয়োজন করা হবে বসন্তোৎসবের?

যারা এই আশায় দিন কাটাচ্ছেন তাদের জন্য খুবই খারাপ খবর রয়েছে। কারণ গত দু’বছরের মতো এবছরও বিশ্বভারতীতে আয়োজিত হবে না ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একটি বসন্তোৎসব সম্পর্কিত ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি BANGLAXP) ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকেই স্পষ্ট এবারও দোলের দিন বিশ্বভারতীতে হচ্ছে না বসন্তোৎসব।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে দেখা গিয়েছে, “বসন্তোৎসব কোন দিন হবে তা এই মুহূর্তে ঘোষণা করছি না। এই উৎসব বিশ্বভারতীর পরিবারের উৎসব। এই উৎসব কখনোই সাধারণ মানুষের উৎসব ছিল না।” এই প্রসঙ্গে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীতে সার্বজনীন বসন্তোৎসব না হলেও বিশ্বভারতীর রীতি মেনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে বসন্তোৎসবের আয়োজন করবে সেই বসন্ত উৎসব হবে কেবলমাত্র ঘরোয়াভাবে। রীতি নীতির ক্ষেত্রে সবই থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে। বৈতালিক, ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের মধ্য দিয়ে হবে শোভাযাত্রা। এই বসন্তোৎসবে আমজনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা অনান্য অনুষ্ঠানের মতো বসন্ত উৎসব করব। আমরা দোলের দিন বসন্ত উৎসব করব না। কারণ, সেদিন বসন্ত উৎসব করলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজ্য পুলিশ আমাদের সাহায্য করে না। তাই আমরা রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর নির্ভর করতে পারি না। এটা বিশ্বভারতীর পরিবারের অনুষ্ঠান, আমরা নিজেদের মতো করব। করোনার জন্য এখনো কারফিউ আছে। তাই সন্ধের বৈতালিক আমরা করব না। সকালের বৈতালিক আমরা করব।”