নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ক্ষোভ বিক্ষোভ আর দলবদলে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে ভোটের ফলাফলের পর তাদের প্রত্যাবর্তনে শুরু হয়েছে ঘর ওয়াপসি। গতকাল সাতগাছিয়া প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ খোলা চিঠি লিখে দলে ফেরার আবেদন করেন। আর এর ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই একই পথে হাঁটলেন সরলা মুর্মু।
মালদহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান সদস্য সরলা মুর্মু সম্প্রতি তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তার দাবি, ভোটে জয়লাভ করার পর দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দলবদলকারীদের পুনরায় দলে যে স্বাগত জানিয়েছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে দলে ফেরার আবেদন করেছি। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই রকম কোনো আবেদন এখনও তারা পাননি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী টিকিট না পেয়ে অথবা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই সরলা মুর্মুর ক্ষেত্রে ছিল কিছুটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। সরলা মূর্মুকে তৃণমূলের তরফ থেকে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দল ত্যাগ করেন এবং গেরুয়া শিবিরের নাম লেখান আসন পছন্দ না হওয়ায়।
তৃণমূলের তরফ থেকে সরলা মুর্মুকে প্রার্থী করা হয়েছিল মালদহের হাবিবপুর কেন্দ্র থেকে। কিন্তু তিনি তার জেদ ধরে বসেছিলেন পুরাতন মালদহ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার। যদিও পুরাতন মালদহ আসনটি সংরক্ষিত হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আর এই অভিমানেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
[aaroporuntag]
যদিও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি নিজের পছন্দের আসন তো দূরের কথা প্রার্থী হিসাবে কোন রকম টিকিটই জোগাড় করতে পারেননি। সে কারণে গেরুয়া শিবিরের নাম লেখালেও ভোটের সময় তাকে নিষ্ক্রিয় ভাবে বসে থাকতে দেখা যায়। আর ভোট শেষে ফলাফল বের হওয়ার প্রায় ২০ দিন পর ফের তৃণমূলের আবেদন করলেন।