‘নেই নেই, পাইনি পাইনি’, ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে যা জানালেন শতাব্দী

নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে বেরিয়ে রবিবার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। এদিন তিনি সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গ্রামে ভোট প্রচারে গেলে তার সামনেই একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হন এলাকার মহিলারা। এলাকার মহিলাদের কেউ দাবি করেন পাইপলাইন হয়ে গেলেও পানীয় জল নেই, কেউ দাবি করেন আবাস যোজনার বাড়ি পাননি, আবার কেউ দাবি করেন সামান্য ত্রিপল টুকুও পাননি। এর পাশাপাশি রাস্তা, নর্দমা এবং ব্রিজ নিয়েও দাবি তুলতে দেখা যায় স্থানীয়দের।

শতাব্দী রায় এলাকায় পৌঁছাতেই স্থানীয় মহিলাদের কয়েকজন সেখানেই জড়ো হন এবং তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন অভিযোগ করেন, বারবার কিছু মানুষ আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি পাচ্ছেন অথচ তারা পাচ্ছেন না। এমনকি মাটির বাড়িতে বসবাস করলেও ত্রিপল টুকু দেওয়া হয়নি। আবার এদের মধ্যেই কয়েকজন জানান, বারবার জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি। এছাড়াও সামনেই হাসপাতাল থাকলেও রাস্তা না থাকার কারণে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে থাকা সিউড়ি হাসপাতালে আনতে হয় রোগীদের বলেও অভিযোগ।

সাংসদ শতাব্দী রায়কে সামনে পেয়ে সরাসরি অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে দাবি দাওয়া শতাব্দী রায়কে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। ত্রিপল সহ ছোটখাটো যে সকল সমস্যা রয়েছে সেই সকল সমস্যা তৎক্ষণাৎ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন। তবে এরই মধ্যে হঠাৎ সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রত্নাকর মন্ডল জানান, তৃণমূলকে জিতিয়ে আনলে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বাসিন্দারা জানান আগেও তারা জিতিয়ে এনেছেন।

অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় এইভাবে বারবার ‘পাইনি পাইনি, নেই নেই’ দাবি শুনে শতাব্দী রায় জানান, “যেগুলো হাতে আছে সেগুলো করে দেবে তার জন্য আমি বলে দিয়েছি। কিন্তু যেগুলো হাতে নেই সেগুলো তো আর এখানে দাঁড়িয়ে কথা দেওয়া সম্ভব নয়। যেমন নদীর ব্রিজ। সেক্ষেত্রে কত খরচ হবে আর আমার কাছে কত ফান্ড আছে তা দেখেই আমি দিতে পারবো।”

এছাড়াও আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি না পাওয়া নিয়ে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শতাব্দী রায় জানান, “অনেকেই বাড়ি পেয়েছে। সরকারেরও একটা বাজেট থাকে। একটা বাড়িতে দু তিনটে করে ছেলে। তাদের মধ্যে হয়তো দুটো ছেলেকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে আর একটা ছেলে পায়নি। আর তাতেই বলছে পাইনি পাইনি। বলছে না বাকি দুজন পেয়েছে।”