করোনা পরবর্তীতে স্কুল খুললেও লাগু হবে নয়া নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার ত্রাসে ভুগছে গোটা বিশ্ব। শুধু ভারত নয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন লকডাউনের সম্মুখীন। প্রতিটি দেশই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়ার জন্য। লকডাউনের কারণে থমকে গেছে সমস্ত কিছু, এতদিন মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় কাটানোর রেকর্ড এর আগে আছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। তবে এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর গেলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে তা আশাই করা যায়।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউন জারি হওয়ার অনেক আগে থেকেই স্কুল কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আগামী দিনে যেদিন খুলবে সেদিন থেকেই চালু হবে নয়া নিয়ম। এমনই জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা হবে এই সকল নয়া নিয়ম। স্কুল এডুকেশন অ্যান্ড লিটেরেসি দপ্তর এসকল নিয়ম তৈরি করেছে।

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে যখনই স্কুল কলেজ অথবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে তখন পড়ুয়াদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে চলতে হবে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিটি পড়ুয়ার সুরক্ষার্থে এই নিয়ম চালু করা হবে। এতদিন ক্লাসরুমে যেভাবে পড়ুয়ারা বসতো তার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তবে কিভাবে পড়ুয়াদের বসানো হবে এসব নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, একটি ক্লাসরুমে ৩০ থেকে ৪০ জন পড়ুয়া বসার ক্ষেত্রে অনুমতি মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটি লম্বা বেঞ্চ দুজন পড়ুয়া বসবে। তবে বেঞ্চের দৈর্ঘ্য খুব বেশি হলে সে ক্ষেত্রে দুজনের বেশি পড়ুয়া বসার অনুমতি মিলতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী এসবের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে লকডাউন পরবর্তীতে আদৌ কি স্বাভাবিক হবে স্কুলের পঠনপাঠন!

এছাড়াও এই করোনাভাইরাসের জেরে আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে। ইউজিসি জানিয়েছে, আগস্ট মাসে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাসে। এছাড়াও ইউজিসি বারবার জোর দিচ্ছে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে দেশের প্রায় প্রতিটি স্কুলেই অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী জোর দেওয়া শুরু করেছে।