School Electric Bill: স্কুলে স্কুলে চলে গেল নির্দেশিকা, বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় চাপ বাড়ল শিক্ষকদের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি দেখা গিয়েছে বিদ্যুৎ খরচ আগের তুলনায় প্রায় সব জায়গাতেই বেড়ে গিয়েছে। আসলে দিন দিন গরম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ফ্যান, এসি সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। তবে এমন মুহূর্তেই এবার স্কুলে স্কুলে বিদ্যুতের খরচ (School Electric Bill) কমাতে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা পৌঁছে গেল।

Advertisements

গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর রাজ্য সরকার বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে চলেছে। স্কুল চলাকালীন যাতে অন্য কোন কাজ করা না হয়, স্কুলে যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সঠিক টাইমে ঢোকেন এবং বের হয় ইত্যাদি নানান বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর একের পর এক নির্দেশিকা জারি করে চলেছে। আর এসবের মধ্যেই বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে নির্দেশিকা রাজেশ স্কুলগুলির শিক্ষকদের চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে যথেচ্ছ বিদ্যুৎ খরচ হয় বলে জানা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্কুল, কলেজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ফ্যান, আলো ইত্যাদি অনবরত চলেই থাকে। আর এসবের কারণে অনেকটাই বিদ্যুতের অপচয় হয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) গত ২৬ জুলাই এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? LIC: আরও সহজে করা যাবে LIC-র পলিসি! বড় পদক্ষেপ নিল সংস্থা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ক্লাস রুমের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা আধিকারিকদের রুমে কোন ভাবেই বিদ্যুতের অপচয় করা যাবে না। শুধু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এমন নয়, এর পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন স্কুল অথবা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে কিনা তার উপর নজরদারি চালাবেন এসআই থেকে শুরু করে শিক্ষাবন্ধুরা। তারা স্কুলে স্কুলে গিয়েও নজরদারি চালাবেন।

মূলত দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর আশা করা হচ্ছে, স্কুল না চললে যে বিদ্যুৎ খরচ হতো সেই বিদ্যুৎ খরচের উপর অনেকটাই লাগাম টানা সম্ভব হবে। এমনিতেই সরকারি অফিস থেকে শুরু করে স্কুল কাছারি বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের চরম অপচয় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এই ধরনের অপচয় ঠেকানো সম্ভব হলে রাজ্যের বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements