কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের জন্য এবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan Notice) থেকে শুক্রবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যে বিজ্ঞপ্তিতে যে সকল নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা নিয়ে এখন নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে এই বিজ্ঞপ্তির সব নির্দেশিকা অমান্য করলে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে কড়া শাস্তি।
আরজিকর কাণ্ডে যখন রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে, যখন এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের সেই সময় শিক্ষা দপ্তরের এমন বিজ্ঞপ্তিতে রীতিমতো চর্চার ঝড় বইতে শুরু করেছে। এমন বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে এবার শিক্ষক মহলে নানান প্রশ্ন উঠতে দেখা যাচ্ছে।
শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের পঠন পাঠনের সময় কোন পড়ুয়া রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়াও কোন পড়ুয়াকে শারীরিক বা মানসিক শাস্তি দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের শারীরিক বা মানসিকভাবে শাস্তি দেওয়া যাবেনা এমন বিজ্ঞপ্তি অবশ্য নতুন নয়। এমন বিজ্ঞপ্তি আগেও জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর।
কিন্তু মূল যে প্রশ্ন সেই প্রশ্ন হল বিজ্ঞপ্তির মধ্যে থাকা স্কুল টাইমে কোন পড়ুয়া রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ। কেননা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, যদি এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে শিক্ষা দপ্তর। এমন নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বকলমে আরজি কর কান্ডের বিচারের দাবিতে পড়ুয়ারা পথে নামছে বলেই এমন নির্দেশিকা?
শিক্ষা দপ্তরের শুক্রবারের এমন বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর ডি আই অফিসের তরফ থেকে আরেকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যে নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আসলে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আবার এক কাঠি উপরে বলা হয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে কোন পড়ুয়া কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মূলত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরজি কর কান্ডের পর পড়ুয়াদের যেভাবে আন্দোলনে নামতে দেখা যাচ্ছে তা দেখেই কি রাজ্য সরকার ভয় পেয়ে এমন নির্দেশিকা জারি করছে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন শিক্ষক মহলের একাংশের।