নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) জুড়ে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। আবার এই গরম সেই দিন থেকে বাড়তে শুরু করেছে যখন স্কুল খোলার সময় এসেছে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি গরমের কারণে দীর্ঘ ৪৯ দিন পর গত ১০ জুন থেকে পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে এখন স্কুলে ২৫ শতাংশ পড়ুয়াদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
মূলত মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে অধিকাংশ পড়ুয়ারা স্কুলে যাচ্ছে না, গত সোমবার অর্থাৎ স্কুল খোলার প্রথম দিনই বেশ কিছু জায়গায় পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবরও সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের একাংশ স্কুল পুনরায় বন্ধ করার দাবি তুলছিলেন, আবার অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের সময় পরিবর্তনের দাবি তুলছিলেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার স্কুলের সময় পরিবর্তন (WB School New Timings) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ডিরেক্টর অফ এডুকেশনের তরফ থেকে একটি অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার। যাতেই বলা হয়েছে স্কুলের সময় পরিবর্তন করার বিষয়টি। মূলত ওই অ্যাডভাইসারিতে যা বলা হয়েছে, তাতে এবার জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে সময়ের পরিবর্তনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবং আবহাওয়া অনুযায়ী।
সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে, আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে এবার স্কুল কর্তৃপক্ষ সকালে স্কুল করাবে নাকি ডে স্কুল করাবে সেই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। গোটা জুন মাসের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও মিড ডে মিল-এর মত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিক অ্যাক্টিভিটির ক্ষেত্রে কোন রকম সময়ে পরিবর্তন আনা যাবে না।
নতুন যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেই নির্দেশিকা কেবলমাত্র প্রাথমিক স্কুলের জন্য নয়, এই নির্দেশিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত ধরনের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের জন্য। মূলত এমন সিদ্ধান্তের ফলে আর যাই হোক জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে গরমে স্কুল করার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে পড়ুয়ারা। এছাড়াও গরমের কারণে যেভাবে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কমে গিয়েছিল তা আবার আগের মতো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে কোন স্কুলের সময়সূচি কি হবে তা নির্ভর করছে পুরোপুরিভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর।