পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রকম স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ালো রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : একেই করোনা, তার উপর আবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। যে কারণে ছন্দ ছাড়া হয়ে পড়েছে রাজ্য। আর এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত রকম স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ালো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানোর কথা বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে তা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এখন কোন রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “বিদ্যালয় শিক্ষার আধিকারিকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হলো। আগে ছিল করোনা সংক্রান্ত বিষয় আর এখন তার সাথে জুড়েছে ঘূর্ণিঝড়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত আটটি জেলা হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলাগুলি ছাড়াও অল্পবিস্তর অন্যান্য জেলাগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলের কোথাও রুম ভেঙে গেছে, কোথাও টয়লেট ভেঙে গেছে, কোথাও আমাদের মিড ডে মিলের কিচেন ভেঙে গেছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণে পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের রাজ্যে ফিরে আসছে। তাদেরকে রাখা ইত্যাদি সর্বদিক বিচার করে ৩০ শে জুন পর্যন্ত সমস্ত রকম স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তবে এই দীর্ঘ স্কুল বন্ধ রাখার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখে শিক্ষামন্ত্রী বিকল্প রাস্তার কথা জানান। সে ক্ষেত্রে তিনি জানান, “আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিভিন্ন জায়গায় ডিআই ও এসআইদের সাথে কথা বলে পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে পড়াতে পারেন। তবে এই বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে ১০৫৮ টি সেন্টার বাছা হয়েছিল তার মধ্যে ৪৬২ টি সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানান, “আমরা কলেজের সাথে কথা বলছি প্রয়োজনে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলির সিট কলেজে পরতে পারে।”

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে মে মাসে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে আভাস দিয়েছিলেন জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলি খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু এরপর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩০ শে জুন পর্যন্ত কোনো রকম স্কুল খোলা হবে না।